ঢাকা প্রতিনিধি
রাস্তার দু’পাশে অজস্র বই। লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ বই হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছেন, কেউ পড়ছেন, কেউ আবার নিজের পড়া বইটি রেখে নতুন একটি বই বদল করে নিচ্ছেন। এ এক অভিনব বইমেলা।
বাংলাদেশের পূর্ণয় প্রতিবছর পুঁথি সরণি আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১ অক্টোবর শনিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন রোডে পুঁথি সরণি আয়োজিত হয়। এই আয়োজনে প্রায় ৫ হাজার বিভিন্ন রকমের বই রাস্তায় সাজিয়ে রাখা হয়। উদ্যোক্তারা এই বইগুলি মানুষের বাড়ি থেকে এবং বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে সংগ্রহ করে থাকে। মেলায় আসা প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি বই নিতে পারে এবং প্রতিটি বইয়ের জন্য সর্বনিম্ন দশ টাকা দিতে হয়। বলে রাখা ভালো, আগে পুঁথি সরণিতে একেবারেই বিনামূল্যে বইগুলো দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার দশ টাকা সৌজন্য মূল্য রাখা হয়েছে, চাঁদপুরের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জীবন মানে উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে এই অর্থ।
এই আয়োজন এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি এবং আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ও চাঁদপুরের মেয়র। পূর্ণয়ের সভাপতি পৃথ্বীরাজ দত্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহি কানিজের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের গণসংযোগ প্রধান আনাস ইবনে আলমগীর।
উদ্যোক্তা পূর্ণয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, মানুষকে বইমুখী করা ও মানুষের মাঝে বইকে সহজলভ্য করে তোলা। এছাড়াও এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বেশি দামের জন্য পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়তে পারে না এবং সাহিত্যচর্চা করতে পারে না। তাদের জন্য এটা ছিল সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়াও সাহিত্যের বইয়ের পাশাপাশি আমাদের এখানে অ্যাকাডেমিক বইও ছিল।
প্রতিবারের মতো এবারও আমরা খুব ভালো সাড়া মিলেছে পুঁথি সরণীতে। আয়োজন শুরু হওয়ার আগে থেকেই পাঠকরা বই নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। এবং অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আশা করি বুঝতেই পারছেন কি পরিমান পাঠক সমাবেশ হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন