মন খারাপের পুজো : দেবাশিস কর্মকার



মুন্নি চলে গেল। গলিটা শেষ হয়ে ফের ডানদিকে ঘুরে গেছে। তার দুটো বাড়ি পরেই মুন্নিদের বাড়ি। এখন গলিটা আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। সবুজ, নীল, গোলাপি টিউবলাইটে। অন্য সময় পঞ্চাশ গজের গলিতে দুটো মাত্র ষাট ওয়াটের বালব জ্বলে। সেই রঙিন আলো গায়ে মাখতে মাখতে মুন্নি চলে গেল। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে গেছিল। যতক্ষণ মুন্নি দৃষ্টির মধ্যে থাকে জিৎ সেদিকে চেয়ে থাকল। কখনও সরাসরি, কখনও আড়চোখে। সে চাইছিল মুন্নি একবার ফিরে তাকাবে। তেমনটা ঘটল না। অবশ্য এটাই প্রত্যাশিত ছিল জিতের কাছে। তবু বুকের গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।

পাড়ার ভিতরটা খুব ঘিঞ্জি। তাই গলির মুখে মণ্ডপ করে পুজো হয়। খুব বড় নয়। একেবারে সাদামাঠা। জিৎ জ্ঞান হয়ে থেকে এই পুজোটা দেখছে। রোজ সন্ধ্যা আরতির পর দুর্গাতলা ফাঁকা হয়ে যায়। শুধু গুটিকয় বেঁড়েপাকা বাচ্চাছেলে চেয়ার দখল করে মাতব্বরি করে। অমন বয়েসে জিৎও করেছে। কেউ অবশ্য একটু অন্য ধরনেরও হয়। বিশ্রাম নেওয়া ঢাকিদের কাছে গ্রামের গল্প শোনে। যেন তাদের চোখের সামনে একটা অজানা জগৎ খুলে যায়।

কিছুক্ষণ আগেই জিৎ মণ্ডপে এসে বসেছে। একটু থেকে বাড়ি ঢুকে যাবে। হঠাৎ বাবা-মার সঙ্গে মুন্নিকে ঢুকতে দেখবে ভাবেনি। মুন্নিরা এল, কিছুক্ষণ দঁাড়িয়ে তিনজনে মাকে প্রণাম করে চলে গেল। জিৎ একবার অনুমানের চেষ্টা করল, আচ্ছা মুন্নি ঠাকুরের কাছে কি চাইতে পারে? তখনই দেখল, ওরা মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। মুন্নির বাবা যেতে যেতে মাথা তুলে মণ্ডপের ঝাড়বাতিটা ভালভাবে জরিপ করছিল। যেন বাড়িতে একটা ঝোলাবে। কে যেন জিতের পিছন থেকে ফিসফিস করে বললো, মেয়ের বিয়েতে টাঙাবে। চমকে উঠলো জিৎ। তারপর মুন্নির চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকল।

জিতের আজ বাড়ি ঢোকার তাড়া নেই। দেরি হলেও কেউ বকবে না। বাড়ি ফাঁকা। বাবা-মা-দিদিরা হোলনাইট ঠাকুর দেখতে গেছে। ফিরবে হয়তো ভোর রাতের দিকে। ততক্ষণ ও বাড়িতে একা। দু’বছর আগেও জিৎ বাড়ির লোকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। এখন আর যায় না। গত বছর তিনদিনই পাড়ার কিংবা কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখেছে। অনেক আগে থেকে প্ল্যান-প্রোগ্রাম করা ছিল। এবার সেটা হয়নি। শুরু থেকেই সব উল্টো-পাল্টা হয়ে গেছে। তাই সে এবার দলছুট। যে ভাবে পুজোটা কাটবে ভেবেছিল, তা হল না। যে ভাবে পুজো কাটাবে ভেবে রেখেছিল, তাও ভেস্তে গেছে।

আরও কিছুক্ষণ মণ্ডপে বসতেই পারত জিৎ। একটু পরেই হয়তো পাড়ার বন্ধুদের গ্রুপটা ঠাকুর দেখে ফিরে আসবে। তবু আর বসতে ইচ্ছা করল না জিতের। ওরা এসে পড়লে ব্যাপারটা নিয়ে খিল্লি হবে। তাই উঠে পড়ল সে। রাস্তা দিয়ে আসার সময় একবার মুন্নিদের বাড়িটার দিকে তাকাল জিৎ। সেটা অন্ধকারে ডুবে এর নীরব।

বাড়ি এসে পকেট থেকে চাবি বের করে দরজা খুলল। ভিতরে ঢুকে লাইটগুলো একে একে জ্বালাল। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হল। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খাবার গরম করল। ডাইনিংয়ে নিয়ে গিয়ে খেল। প্লেট কিচেনের বেসিনে নামিয়ে রাখল। শোয়ার ঘরে গিয়ে মশারি টাঙাল। শুয়ে পড়েও কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে উঠে পড়ল। বসার ঘরে এসে টিভি চালাল। চ্যানেল পাল্টে পাল্টে কিছুক্ষণ দেখল। ভাল লাগল না। বন্ধ করে সোফাতেই চুপ করে বসে রইল। বারবার মুন্নির মুখটা চোখের সামনে ভাসছে। নীল-গোলাপি-সবুজ টিউবের আলো গায়ে মেখে মুন্নির চলে যাওয়াটা এখনো চোখে ভাসছে। একবার খুব অভিমানও হল জিতের। মুন্নি একবারটি ফিরে তার দিকে তাকালে কী এমন ক্ষতি হত!

ব্যালকনিতে এসে বসল জিৎ। এ পাড়ায় উঁচু বাড়ি নেই। এয়ারপোর্টের কাছে আর প্লেন ওঠানামার পথের মধ্যে পড়ে বলে সব বাড়ি বড়জোর দোতলা। জিৎদের বাড়িটা দোতলা। মুন্নিদেরটাও। তবে মুন্নিদেরটা বেশ পুরনো। তাও আবার ওর দুই কাকার সঙ্গে ভাগের। চতুর্ভুজাকৃতি পাড়াটার সমকোণে জিৎ আর মুন্নিদের বাড়ি। মাঝে আর কোনও উচু বাড়ি নেই। কচুরিপানা ভর্তি একটা ডোবাও আছে। তাই জিতদের দোতলার ব্যালকনি থেকে মুন্নিদের বাড়ির একটা দিক দেখা যায়। আর ওই দিকেই মুন্নিদের ভাগের রান্নাঘর।

এসব ইদানীং খেয়ালে এসেছে জিতের। সে এই পাড়ায় জন্মেছে, বড় হয়েছে। অলিগলি সব তার জানা। তবু কিছুদিন হল পাড়াটাকে যেন নতুন চোখে দেখছে। খুব পুরনো, গতানুগতিক– এমন অনেক কিছু ওর এখন নতুন লাগছে। যেমন, কিছুদিন আগেই জিৎ খেয়াল করেছে মুন্নিদের রান্নাঘরের জানালার পাশে মোটা পাইপের ফাঁকে একটা বটগাছের চারা বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী। পুজোর জন্য একটু আলো দিয়ে পাড়াটা সাজানোর চেষ্টা করেছে কমিটির লোকেরা। সে আলোগুলো শুধুই উৎসবের জানান দেয় মাত্র। সেই আবছা আলোতেই মুন্নিদের বাড়ির গায়ে গজিয়ে ওঠা বেয়াদপ চারাটাকে নিরীক্ষণের চেষ্টা করল সে। স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যাচ্ছে না। তখনই চোখ পড়ল মুন্নিদের রান্নাঘরের জানলাটাতেও। সেটা খোলা। বোধয় রাতে বাড়ি ফিরে সবাই এত ক্লান্ত ছিল যে জানালা দিতে ভুলে গেছে। না হলে সবদিন রাতে জানালাটা বন্ধই থাকে।

ক’দিন আগে স্বপ্নে ওই বট চারাটাকেই পলাশ গাছ দেখেছে জিৎ। ঠিক কবে বলব? দাঁড়ান, একটু মনে করতে দিন। আজ হল নবমী। কাল গেছে অষ্টমী...সপ্তমী...ষষ্ঠী। স্বপ্নটা জিৎ দেখেছে পঞ্চমীর দিন রাতে। না, ভুল বললাম। আসলে স্বপ্নটা সে দেখেছে ষষ্ঠীর ভোরে। ঘুলঘুলি দিয়ে আসা প্রত্যুষের আলো পুরো ঘরে ছাড়িয়ে পড়েছিল। আচমকা ঘুম ভেঙে গিয়ে ঠাওর করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। বাইরে কাক-চড়াই ডাকছিল। তড়াক করে বিছানা থেকে নেমে ব্যালকনিতে এসে ঝঁুকে পড়েছিল জিৎ। দেখেছিল, বট চারাটা পাইপের গায়ে সেভাবেই রয়েছে। হাল্কা হাওয়ায় মৃদু দুলছে। সেটা যেন জিৎকে বিদ্রুপ করছে। 

ওই পঞ্চমীতেই, কলেজে পুজোর ছুটি পড়ার দিন কাণ্ডটা ঘটিয়েছিল জিৎ। 

কলেজ থেকে বেরিয়ে ট্রেন ধরার জন্য শিয়ালদা স্টেশনে বসিছিল মুন্নি। একাই ছিল। এসব বিশেষ দিনে এমনই হয়। যে সব বন্ধু এনগেজ তারা কোথায় কোথায় উধাও হয়ে যায়। আর যাদের সে কপাল নয়, তারা একলা হয়ে পড়ে। 

মুন্নির সঙ্গে জিতের স্টেশনে দেখা হয়ে যাওয়াটা আকস্মিক নয়। জিৎ অনেক আগেই কলেজ থেকে বেরিয়ে স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছিল। পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে মুন্নির পাশটায় কিছুটা জায়গা ছেড়ে বসে পড়ল। চোখে চোখ পড়তে দু’জনেরই একটু হাসি। খুব সাধারণ কথা। তারপরেই বুকে অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে কথাট পেড়ে ফেলল জিৎ, ‘আমি তোমায় পুজোয় উইশ করতে পারি?’

মুন্নির সপ্রতিভ উত্তর ছিল, ‘নয় কেন? উইশ তো করতেই পারো।’

তখনই ডায়েরির ভঁাজ থেকে ব্রাউন খামে ঢোকানো গ্রিটিংস কার্ডটা বের করে মুন্নির হাতে দিয়েছিল জিৎ। কলেজ স্ট্রিটের ‘হার্ট অফ দ্য সিটি’ থেকে পছন্দ করে কিনেছে। একা একা। মুন্নি খামটা হাতে নিয়ে ব্যাগের চেন খুলে ঢুকিয়ে রেখেছিল। ভাল হয়েছে। জিৎ চাইছিল না, মুন্নি এখনই ওটা দেখুক।

ঘটনাটা ঘটানোর আগে মুন্নিকে চোখে রেখে বেশ কয়েকবার এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেছে। তারপর বুক ঠুকে এসে বসেই পড়েছিল। 

প্লাটফর্মে ট্রেন ঢুকে গিয়েছিল। ট্রেন থামার অপেক্ষা না করেই মুন্নি এগিয়ে গিয়েছিল। সে লেডিস কমপার্টমেন্টে উঠবে। যাওয়ার আগে সে জিৎকে ‘আসছি’ বা ‘এলাম’ কোনও কিছুই বলেনি। তাতে জিতের একটু আঁতে লেগেছিল বই কী? কিন্তু সে মনকে প্রবোধ দিয়েছে, যাচ্ছে তো দেখাই গেল। কিছু বলতেই হবে, তার কী মানে?

মুন্নিকে ছোট থেকেই দেখেছে জিৎ। মাঝেমধ্যে কথাও হয়েছে। কিন্তু কখনও সেভাবে ওর মধ্যে বিশেষ কিছু নজরে আসেনি। তেমন আলাদাভাবে ওকে নিয়ে ভাবনাচিন্তারও প্রশ্ন ওঠেনি। এই মাত্র ক’মাস আগে স্টেশনে অন্য মুন্নিকে আবিষ্কার করে যেন জিৎ। এমনই হয়। মাথায় ঝঁুটি বেঁধে ফ্রক পরে পাড়ার দোকানে আসা পরিচিত মেয়েটা একদিন অপরিচিত নারী হয়ে যায়। সেদিন মুন্নিদের কলেজে সোশ্যাল ছিল। শাড়ি পরা মুন্নিকে যেন সেদিন প্রথম দেখেছিল জিৎ। তারপর থেকেই...

দু’জনেই শিয়ালদার কলেজে পড়ে। যদিও কলেজ আলাদা। তারপর থেকেই মুন্নির সঙ্গে ঘড়ি মিলিয়ে নিয়েছে জিৎ। 

কিন্তু কিছুতেই প্রপোজ করতে সাহসে কুলোচ্ছে না। তাই গ্রিটিংস কার্ডের বাহানা। মায়ের বোধনেই মুন্নির কাছ থেকে কিছু একটা সাড়া পাবে আশা করেছিল জিৎ। সেটা হয়নি। সন্ধ্যা থেকে মণ্ডপেই ছিল জিৎ। শাড়ি পরে পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ছিল মুন্নি। অনেকবার দেখেছে জিৎকে। কিন্তু পাত্তা দেয়নি। আর ততবারই বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছে জিতের। সপ্তমীতে মুন্নিকে একটু চাপে ফেলবে ঠিক করে পাড়া থেকে উধাও হয়েছে জিৎ। শ্রদ্ধানন্দ পার্কে গিয়েছিল, সেখানকার একটা বন্ধুগ্রুপের সঙ্গে আড্ডা মারবে বলে। তাদের পায়নি। অগত্যা অরুণায় নাইট শোয়ে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়েছে। চলছিল পুরনো সিনেমা– উত্তম-সৌমিত্রর ‘স্ত্রী’। তবে বেশ সময়টা কেটে গেছে। সে ওষুধে মুন্নির মধ্যে কোনও পরিবর্তন দেখেনি জিৎ। মুন্নি অষ্টমীর সকালে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে ফুলঝুরির মতো ঘুরে বেড়িয়েছে পাড়ায়। জিতের দিকে ফিরেও তাকায়নি। আর তখনই পুজোর ভরাডুবিটা পরিষ্কার হয়ে গেছে জিতের কাছে। হাল ছেড়ে দিয়েছে। অষ্টমী-নবমীর সন্ধ্যায় আর পাড়ায় থাকতে ভালো লাগেনি জিতের। নতুন জামা-প্যান্ট পরতেও ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু বাড়িতে মায়ের কাছে বকা খেতে হবে। তাই পড়েছে। কিন্তু পাড়ায় থাকেনি। কোথায় গেছিল, কারও সঙ্গে গেছিল কি-না, আমি জানি না। এটুকু জানি, মুন্নির সঙ্গে একডালিয়ার ঠাকুর দেখার লাইনে দঁাড়ায়নি জিৎ। যদিও তেমনটাই ভেবে রেখেছিল সে।

মুন্নিদের রান্নাঘরের পাশে পাইপের গায়ে বেড়ে ওঠা বট চারাটা হাওয়ায় দুলছে। 

এত সহজে দমে যাবে না জিৎ। মুন্নিকে বশীকরণের আরও একটা ওষুধ আছে। সেটাতে ওর অনেক বন্ধু ফল পেয়েছে। 

জিৎ ওর বেডরুমে গিয়ে বইয়ের সেলফ থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সোনালি-দুঃখ’ বইটা বের করল। ত্রিস্তান আর ইসোল্টের অমর প্রেম কাহিনি। একেবারে শেষের কয়েকটা পাতা আগে চলে গেল। পেন্সিল দিয়ে আন্ডারলাইন করা আছে কয়েকটা লাইন– “সোনালি, ভালবাসা কি শুধু রূপে? আজ আমার বাইরের রূপ দেখে তেমার ঘৃণা? আমি কি শুধু রূপের জন্য তোমায় ভালোবেসেছিলুম? তবে, তোমার বাবা যখন তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন–আমি কেন তখুনি বিয়ে করিনি? আমি তো তখুনি তোমাকে নিয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে পারতুম। সোনালি, ভালোবাসা চামড়ার নীচে থাকে। ওপরে নয়। সেই ভালবাসার জন্যই আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোনও নারীকে স্পর্শ করতে পারিনি।” 

পুজোর পর কলেজ খুললে এই বইটাই তাকে উপহার দেবে ঠিক করল জিৎ। তারপরেও রয়েছে ওষুধ, ভূপিন্দর সিংয়ের গজলের ক্যাসেট।

ভাবতে ভাবতে আবার ব্যালকনিতে এসে বসল জিৎ। চেয়ে রইল মুন্নিদের রান্নাঘরের অন্ধকার রান্নাঘরের দিকে। কোন ভাবনায় তলিয়ে গেছিল সে। হঠাৎ, মুন্নিদের রান্নাঘরে আলো জ্বলে উঠতে দেখল জিৎ। আর তখনই লক্ষ্য করল মুন্নি, হ্যাঁ মুন্নিই জানলায় দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো অনেক্ষণ ধরেই দাঁড়িয়ে আছে। অন্ধকার বলে তাকে দেখতে পায়নি জিৎ। কয়েক মুহূর্ত, তারপরেই দ্রুত সরে গেল মুন্নি। হয়তো বিছানা থেকে লুকিয়ে উঠে এসেছিল। ওর দিদি ধরে ফেলেছে। বাড়িতে খুব বকা খাবে মেয়েটা। তা খাক। জিৎ কিন্তু মুন্নির জবাব পেয়ে গেছে। আবছায়া ব্যালকনিতে কিছুক্ষণ ধেই ধেই করে নেচে নিল সে। পুজোটা যেমনই যাক। দশমীর বিসর্জনটা জমে যাবে জিতের। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন