তরুণ কবি অতনু রায়-এর দুটি কবিতা

তরুণ কবি অতনু রায়-এর দুটি কবিতা
কল্পনা

১)

হঠাৎ সন্ধ্যায়


গোটা শহরে শুধু বুরফটুকু পড়া বাকি,
আমার মাফলারে চুঁইয়ে পড়ছে হিমবাহের কিয়দংশ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে একটা অনাথ সন্ধ্যা।

ছাইয়ের সাথে মিশে গেছে তোমার কালো সালোয়ার।
তোমার গোটা মুখটা জুড়ে আছে ফ্যাকাসে অপেক্ষা।

তুমি কবিতা হওয়ার পর থেকে ,
আকাশটা কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে,
প্রশ্ন করলে কেমন চুপ করে থাকে !

তবু তোমার চোখে পড়েনি আমার পুরাতন দেহটা,
সত্যি বলতে কি! 
যে দেহ একবার পচে যায়, 
তার সংরক্ষণে কেবল পচা গন্ধ ছাড়া কিছুই মেলে না ।

আমার দগ্ধ দেহটাও শুধুমাত্র দুজোড়া অক্ষরের আশ্রিত,
কাল্পনিক হলেও জীবিত।


২)

একটা রাস্তা
                       

বড়ো রাস্তার গা বেয়ে নেমেছে তোমার পায়ের ছাপ,
জোটে না সাহস আমার অনুকরণের,
আমার কল্পনায় বৃষ্টি পড়ে সূর্যের চোখ থেকে।

ব্যর্থদের তো কল্পনাটুকুই সম্বল।

ছোট্ট সাঁকোটা আর কোনোদিন আমাদের হবে না,
হতে পারে তোমার  কিংবা আমার একার ।
তোমার ঘরে ফেরার রাস্তা আমার আজও মুখস্ত।

তুমি ফেরো না ঘরে আর আমায় ভালোবেসে,
ফেরো না  আর আগের মত স্কুল ছুটির পর,
আমার অপেক্ষার সার্থকতা লেখা বাকি অনেকটা।

বড়ো রাস্তা দিয়ে চলে যায় চাকার শব্দ,
চলে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে অভাগা পাখির দল,
দুঃখ নেই তবু ওদের যাওয়ার সংবাদে।
ওরা জানে পুরোটা চলে যেতে।


শিখলে না শুধু তুমি ,
অর্ধেকটা গেলে,
থেকে গেলে অর্ধেক আমার কবিতায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন