বুধবার ২০২৩ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪টি ভাষায় এই বছর পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
বইতন্ত্র ডেস্ক
'জলের উপর পানি' উপন্যাসের জন্য বাংলাভাষায় সাহিত্য অকাদেমি (Sahitya Akademi) পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী (Swapnamoy Chokroborty)। তাঁর এই উপন্যাসটি তিন-চার বছর আগে ধারাবাহিকভাবে এই প্রকাশিত হয়েছিল একটি বাংলা দৈনিকে। পরে ২০২১ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয় সেই উপন্যাস। স্বপ্নময়েরই আর একটি বিখ্যাত উপন্যাস ‘চতুষ্পাঠী’-র পরবর্তী অধ্যায়ের কাহিনি শোনায় ‘জলের উপর পানি’। প্রকাশের সময় থেকেই পাঠকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই উপন্যাস। এবার সেই উপন্যাসের জন্যই সাহিত্য অ্যাকাডেমি তরফে সেরার শিরোপা পেলেন এই বাঙালি সাহিত্যিক।
ব্যঙ্গ ও শ্লেষের সুর স্বপ্নময়ের লেখার পরিচিত ও জনপ্রিয় আঙ্গিক। নিজস্ব আঙ্গিকেই ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের অ্যাখ্যান তুলে ধরেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক। সমাজের কঠোর ও নগ্ন বাস্তবতা নগ্নতরভাবে তাঁর লেখায় উঠে আসে। বারবার তাঁর কাহিনির নায়ক হয়ে ওঠে বিভিন্নভাবে সমাজে প্রান্তিক হয়ে যাওয়া মানুষেরা। তেমনই, ‘জলের উপর পানি’ ও ‘চতুষ্পাঠী’-তে অনঙ্গমোহন নামে এক সৎ ব্রাহ্মণের কাহিনি রয়েছে।
স্বপ্নময়ের আর এক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘হলদে গোলাপ’-ও একইভাবে প্রান্তিক মানুষের কথা বলে। তথাকথিত মূলধারার যৌন পরিচয়ের নিরিখে পিছিয়ে পড়া রূপান্তরকামী, সমকামী মানুষদের ঘিরেই সেই কাহিনির গড়ে ওঠা। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ ম্যাগাজিনে ধারবাহিকভাবে প্রকাশিত হত ‘হলদে গোলাপ’। চিত্রপরিচালক তথা সাহিত্যিক ও ‘রোববার’ ম্যাগাজিনের তৎকালীন সম্পাদক ঋতুপর্ণ ঘোষের অনুরোধেই এই উপন্যাস লেখা শুরু করেন স্বপ্নময়। সেই উপন্যাস পরে ‘দেজ পাবলিশিং’ থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়। সেই উপন্যাসের জন্য স্বপ্নময় আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
১৯৫১ সালের ২৪ অগস্ট উত্তর কলকাতায় জন্ম সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর। একটা সময় ধূপকাঠির সেলসম্যানের কাজ করেছেন। দারিদ্রের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পাশাপাশি চালিয়ে গিয়েছেন সাহিত্যকর্ম। পরে বেতারের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল তাঁর কর্মজীবন। তাঁর বসতবাড়িসহ পরিচিত এলাকা, মানুষগুলিকেও পাওয়া যায় তাঁর সাহিত্যের অলিগলিতে। সেই সাহিত্য সাধনারই স্বীকৃতি পেলেন স্বপ্নময়।
বুধবার ২০২৩ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪টি ভাষায় এই বছর পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই বছরের পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ৯টি কবিতার বই, ৬টি উপন্যাস, ৫টি ছোট গল্প, ৩টি প্রবন্ধ এবং একটি সাহিত্য অধ্যয়নের বই রয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত জুরি সদস্যদের সুপারিশে এই অনুমোদন দিয়েছে সাহিত্য অকাদেমির কার্যনির্বাহী পর্ষদ। এক্ষেত্রে সাহিত্যিক বাণী বসু, নলিনী বেরা এবং শিবাশিস মুখোপাধ্যায়ের সুপারিশ মেনে স্বপ্নময় চক্রবর্তীকে তাঁর উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে তামার একটি মানপত্র, একটি শাল এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা। আগামী ১২ মার্চ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
![]() |
বইয়ের প্রচ্ছদ ও লেখক। সংগৃহীত ছবি। |
বইতন্ত্র ডেস্ক
'জলের উপর পানি' উপন্যাসের জন্য বাংলাভাষায় সাহিত্য অকাদেমি (Sahitya Akademi) পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী (Swapnamoy Chokroborty)। তাঁর এই উপন্যাসটি তিন-চার বছর আগে ধারাবাহিকভাবে এই প্রকাশিত হয়েছিল একটি বাংলা দৈনিকে। পরে ২০২১ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয় সেই উপন্যাস। স্বপ্নময়েরই আর একটি বিখ্যাত উপন্যাস ‘চতুষ্পাঠী’-র পরবর্তী অধ্যায়ের কাহিনি শোনায় ‘জলের উপর পানি’। প্রকাশের সময় থেকেই পাঠকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই উপন্যাস। এবার সেই উপন্যাসের জন্যই সাহিত্য অ্যাকাডেমি তরফে সেরার শিরোপা পেলেন এই বাঙালি সাহিত্যিক।
ব্যঙ্গ ও শ্লেষের সুর স্বপ্নময়ের লেখার পরিচিত ও জনপ্রিয় আঙ্গিক। নিজস্ব আঙ্গিকেই ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের অ্যাখ্যান তুলে ধরেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক। সমাজের কঠোর ও নগ্ন বাস্তবতা নগ্নতরভাবে তাঁর লেখায় উঠে আসে। বারবার তাঁর কাহিনির নায়ক হয়ে ওঠে বিভিন্নভাবে সমাজে প্রান্তিক হয়ে যাওয়া মানুষেরা। তেমনই, ‘জলের উপর পানি’ ও ‘চতুষ্পাঠী’-তে অনঙ্গমোহন নামে এক সৎ ব্রাহ্মণের কাহিনি রয়েছে।
স্বপ্নময়ের আর এক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘হলদে গোলাপ’-ও একইভাবে প্রান্তিক মানুষের কথা বলে। তথাকথিত মূলধারার যৌন পরিচয়ের নিরিখে পিছিয়ে পড়া রূপান্তরকামী, সমকামী মানুষদের ঘিরেই সেই কাহিনির গড়ে ওঠা। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ ম্যাগাজিনে ধারবাহিকভাবে প্রকাশিত হত ‘হলদে গোলাপ’। চিত্রপরিচালক তথা সাহিত্যিক ও ‘রোববার’ ম্যাগাজিনের তৎকালীন সম্পাদক ঋতুপর্ণ ঘোষের অনুরোধেই এই উপন্যাস লেখা শুরু করেন স্বপ্নময়। সেই উপন্যাস পরে ‘দেজ পাবলিশিং’ থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়। সেই উপন্যাসের জন্য স্বপ্নময় আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
১৯৫১ সালের ২৪ অগস্ট উত্তর কলকাতায় জন্ম সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর। একটা সময় ধূপকাঠির সেলসম্যানের কাজ করেছেন। দারিদ্রের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পাশাপাশি চালিয়ে গিয়েছেন সাহিত্যকর্ম। পরে বেতারের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল তাঁর কর্মজীবন। তাঁর বসতবাড়িসহ পরিচিত এলাকা, মানুষগুলিকেও পাওয়া যায় তাঁর সাহিত্যের অলিগলিতে। সেই সাহিত্য সাধনারই স্বীকৃতি পেলেন স্বপ্নময়।
বুধবার ২০২৩ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪টি ভাষায় এই বছর পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই বছরের পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ৯টি কবিতার বই, ৬টি উপন্যাস, ৫টি ছোট গল্প, ৩টি প্রবন্ধ এবং একটি সাহিত্য অধ্যয়নের বই রয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত জুরি সদস্যদের সুপারিশে এই অনুমোদন দিয়েছে সাহিত্য অকাদেমির কার্যনির্বাহী পর্ষদ। এক্ষেত্রে সাহিত্যিক বাণী বসু, নলিনী বেরা এবং শিবাশিস মুখোপাধ্যায়ের সুপারিশ মেনে স্বপ্নময় চক্রবর্তীকে তাঁর উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে তামার একটি মানপত্র, একটি শাল এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা। আগামী ১২ মার্চ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন