কুণাল ঘোষের পুজোর গানে ফিরল বাঙালির নস্টালজিয়া

পুজোর গান নিয়ে পুজোর সেই নস্টালজিয়া আবার ফিরল। একটা সময় এই পুজোর এলবামই ছিল পুজোর প্রথম উপহার। এবার সেই গন্ধেই মেতে উঠবে সবাই।

কুণাল ঘোষের পুজোর গানে ফিরল বাঙালির নস্টালজিয়া

এখন পিতৃপক্ষ চলছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। তবে পুজোসংখ‌্যা আর পুজোর গানে পুজো শুরুই হয়ে গিয়েছে বাঙালির হৃদয়ে। এল কুণাল ঘোষের পুজোর নতুন এলবাম। তিনটি গান নিয়ে হাজির তিনি। তার মধ্যে দুটি একেবারেই নিখাদ প্রেমের গান এবং আরেকটি নারিশক্তির গান। ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ায় গেলেই দেখা মিলবে গানগুলির। ১২ বছর পর আবার কথা ও সুর বাঁধলেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সেই আনন্দই ভাগ করে নিলেন সবার সঙ্গে। নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে একটি অ‌্যালবামের মুক্তি অনুষ্ঠানে তাঁর কাজে উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কসমিক হারমনি কোম্পানির কর্ণধার সুমন চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনটি গান দেখানো হয় পর্দায়। এই তিনটি গানের মধ্যে আরেকটি ইউএসপি রয়েছে, সেটি হল এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স)-এর ব্যবহার। এরপর ‘ঠিক এখন থেকে যেনও পুজো শুরু হল’, বলেই জানান মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, “কুণাল বরাবরই ভীষন প্রতিভাবান সেটা জানতাম। একাধারে অনেক কিছুই করতে পারে। তবে গানগুলো শুনে পুরোনো দিন মনে পড়ে গেল। আর এআই-এর ব্যবহার চমৎকার।” তিনি আরেকটু মজা করে বলেন, পরের বছর আমিও যদি এরকম গানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি, সেটা দেখো। মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও এই তিনটি গানের প্রশংসা করে বলেন, “কুনাল সত্যিই পারে। একসঙ্গে এতকিছু সামলানো সত্যিই অসম্ভব। সেটা ও পারে।”

প্রথম দুটি নিখাদ প্রেমের গান। যার সঙ্গে প্রায় সবাই একাত্ম হতে পারে। গানের নামের সঙ্গেই রয়েছে তার স্বার্থকতা। একটি গানের নাম ‘ফেসবুক’।যার কথা ও সুর করেছেন কুণাল ঘোষ নিজেই। গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী এবং শিউলি। সংগীত সংযোজন করেছেন গৌতম এবং শমিক। দ্বিতীয়টি ‘আমার গানেতে’। এটির কথা এবং সুর দুটোই কুণাল ঘোষের। গেয়েছেন অভিজিৎ এবং শিউলি। সংগীত সংযোজন করেছেন গৌতম এবং শমিক। শেষ গানটি একেবারেই জাগরণের গান। গেয়েছেন তপমিতা। কথা কুনাল ঘোষ এবং সংগীত গৌতম ব্রহ্মের।

পুজোর গান নিয়ে পুজোর সেই নস্টালজিয়া আবার ফিরল। একটা সময় এই পুজোর এলবামই ছিল পুজোর প্রথম উপহার। এবার সেই গন্ধেই মেতে উঠবে সবাই। এই সবের যিনি কান্ডারি সেই কুণাল ঘোষ বলেন, “১২ বছর আগে রূপঙ্কর বাগচীর সঙ্গে কাজ করেছিলাম। সেখানেও কথা ও সুর আমার ছিল। আবার ১২ বছর বাদে ফিরলাম। গানটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাওয়ার আগে এদিন সকালেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর দেন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, “এবার পুজোয় তিনটি নতুন গান। আজ প্রকাশ। দুটি নিখাদ প্রেমের। একটি নারীশক্তির উত্থান, প্রতিষ্ঠা, অধিকারের। তিনটিই আমার লেখা। গেয়েছেন রূপঙ্কর, অভিজিৎ, শিউলি, তপোমিতা। প্রেমের দুই গানে সুর আমার। অন্যটি গৌতমের। যন্ত্রাণুসঙ্গ আয়োজন গৌতম-শমীক। এই প্রথম বাংলা গানের ভিডিও এআই প্রযুক্তির।’
-------------------------------------

1 মন্তব্যসমূহ

  1. গানের খবর প্রকাশ হয় বই সম্পর্কিত সাইটে। হাইস্যকর বাবু, হাইস্যকর।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন