বিশ্বখ্যাত লেখক অমিতাভ ঘোষ ফিউচার লাইব্রেরি প্রকল্পের জন্য লিখেছেন নতুন পাণ্ডুলিপি, যা ২১১৪ সালের আগে কেউ পড়তে পারবে না। অসলোতে বিশেষ সংরক্ষণাগারে রাখা এই লেখা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য সাহিত্যিক উপহার।
অমিতাভ ঘোষ তাঁর এই নতুন পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছেন ফিউচার লাইব্রেরির আর্কাইভে, যা ২১১৪ সালের আগে কেউ পড়তে পারবে না। অর্থাৎ, এখন থেকে দীর্ঘ ৮৯ বছর ধরে এই লেখা তালাবদ্ধ থাকবে। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বিশেষভাবে তৈরি একটি লাইব্রেরি কক্ষে এই পাণ্ডুলিপিটি কাগজের আসল রূপে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে সময়ের হাত ছুঁয়ে গেলেও লেখার শুদ্ধতা অটুট থাকে।
প্রকল্পটির আরেকটি অনন্য দিক হল—এই শতবর্ষী প্রতীক্ষা একপ্রকার "টাইম ক্যাপসুল" হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থেকে লেখা এই সাহিত্য ভবিষ্যতের পাঠককে পৌঁছে দেবে এক ভিন্ন যুগের অভিজ্ঞতা। অমিতাভ ঘোষ, যিনি তাঁর লেখায় জলবায়ু পরিবর্তন, ঔপনিবেশিক ইতিহাস এবং মানবজাতির পারস্পরিক সম্পর্কের গভীর অনুসন্ধান করে থাকেন, স্বাভাবিকভাবেই এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার ভাবনাকে এক ধরনের সাহিত্যিক পরীক্ষারূপে দেখছেন।
ঘোষ এই সুযোগকে বর্ণনা করেছেন "সময় এবং সাহিত্যের সীমা ভাঙার এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা" হিসেবে। তাঁর মতে, “আজ আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, ৮৯ বছর পরে সেই পৃথিবী আর একই থাকবে না—পরিবেশ, প্রযুক্তি, ভাষা, সবই বদলে যাবে। তখন এই লেখাটি এক নতুন প্রেক্ষাপটে, এক নতুন ভাষ্য হিসেবে দাঁড়াবে।”
ফিউচার লাইব্রেরি প্রকল্পটি ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল, এবং এর উদ্যোগ নেন স্কটিশ শিল্পী কেটি প্যাটারসন। এখন পর্যন্ত এতে অংশ নিয়েছেন মার্গারেট অ্যাটউড, ডেভিড মিচেল, সিওভান ডাউডসহ বিশ্বখ্যাত একাধিক সাহিত্যিক। প্রত্যেকের লেখাই সেই সোনালি তালাবদ্ধ তাকের অংশ, যা খুলবে কেবল আগামী শতাব্দীতে।
অমিতাভ ঘোষের এই অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্য এবং ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর এই পাণ্ডুলিপি কেমন হবে, কী গল্প বলবে, কী ভাষায় রচিত—সবই আপাতত রহস্য। এখন শুধু অপেক্ষা—যে প্রজন্ম আজ জন্মায়নি, তারা যেন প্রথমবার খুলে পড়তে পারে এই সময়পেরোনো সাহিত্যিক উপহার।
বইতন্ত্র ডেস্ক : বিশ্বখ্যাত ভারতীয় সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ আবারও অনন্য এক সাহিত্যিক যাত্রার সূচনা করলেন। নরওয়ের অসলোভিত্তিক ‘ফিউচার লাইব্রেরি প্রকল্প’ (Future Library Project)-এর ১২তম লেখক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি। এই আন্তর্জাতিক সাহিত্য প্রকল্পের উদ্দেশ্য—প্রতিবছর একজন নির্বাচিত লেখক একটি মৌলিক পাণ্ডুলিপি লিখে জমা দেবেন, যা প্রকাশ বা পাঠের জন্য এখনই উন্মুক্ত হবে না। বরং সেই লেখা সযত্নে সংরক্ষিত থাকবে প্রায় এক শতাব্দী, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একেবারে নতুন চোখে, সময়ের দূরত্ব পেরিয়ে, সেসব লেখা প্রথমবার পড়তে পারে।
অমিতাভ ঘোষ তাঁর এই নতুন পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছেন ফিউচার লাইব্রেরির আর্কাইভে, যা ২১১৪ সালের আগে কেউ পড়তে পারবে না। অর্থাৎ, এখন থেকে দীর্ঘ ৮৯ বছর ধরে এই লেখা তালাবদ্ধ থাকবে। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বিশেষভাবে তৈরি একটি লাইব্রেরি কক্ষে এই পাণ্ডুলিপিটি কাগজের আসল রূপে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে সময়ের হাত ছুঁয়ে গেলেও লেখার শুদ্ধতা অটুট থাকে।
প্রকল্পটির আরেকটি অনন্য দিক হল—এই শতবর্ষী প্রতীক্ষা একপ্রকার "টাইম ক্যাপসুল" হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থেকে লেখা এই সাহিত্য ভবিষ্যতের পাঠককে পৌঁছে দেবে এক ভিন্ন যুগের অভিজ্ঞতা। অমিতাভ ঘোষ, যিনি তাঁর লেখায় জলবায়ু পরিবর্তন, ঔপনিবেশিক ইতিহাস এবং মানবজাতির পারস্পরিক সম্পর্কের গভীর অনুসন্ধান করে থাকেন, স্বাভাবিকভাবেই এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার ভাবনাকে এক ধরনের সাহিত্যিক পরীক্ষারূপে দেখছেন।
ঘোষ এই সুযোগকে বর্ণনা করেছেন "সময় এবং সাহিত্যের সীমা ভাঙার এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা" হিসেবে। তাঁর মতে, “আজ আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, ৮৯ বছর পরে সেই পৃথিবী আর একই থাকবে না—পরিবেশ, প্রযুক্তি, ভাষা, সবই বদলে যাবে। তখন এই লেখাটি এক নতুন প্রেক্ষাপটে, এক নতুন ভাষ্য হিসেবে দাঁড়াবে।”
ফিউচার লাইব্রেরি প্রকল্পটি ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল, এবং এর উদ্যোগ নেন স্কটিশ শিল্পী কেটি প্যাটারসন। এখন পর্যন্ত এতে অংশ নিয়েছেন মার্গারেট অ্যাটউড, ডেভিড মিচেল, সিওভান ডাউডসহ বিশ্বখ্যাত একাধিক সাহিত্যিক। প্রত্যেকের লেখাই সেই সোনালি তালাবদ্ধ তাকের অংশ, যা খুলবে কেবল আগামী শতাব্দীতে।
অমিতাভ ঘোষের এই অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্য এবং ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর এই পাণ্ডুলিপি কেমন হবে, কী গল্প বলবে, কী ভাষায় রচিত—সবই আপাতত রহস্য। এখন শুধু অপেক্ষা—যে প্রজন্ম আজ জন্মায়নি, তারা যেন প্রথমবার খুলে পড়তে পারে এই সময়পেরোনো সাহিত্যিক উপহার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন