৫০ বছর আগে নোবেলের মনোনয়নে ছিল তারাশঙ্করের নাম

১৯৭১ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ   কৃপালনি। 

৫০ বছর আগে নোবেলের মনোনয়নে ছিল তারাশঙ্করের নাম

রক্তিম : নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ৫০ বছর পর প্রকাশ করে নোবেল কমিটি। ১৯৭১ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারের মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ হল এবার । সেই বছর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ছিলেন চিলির পাবলো নেরুদা । বাকিদের মধ্যে ছিল গ্রাহাম গ্রিন, গুন্টার গ্রাস, আর্থার মিলার, জেমস বল্ডউইনের, এজরা পাউন্ড, ভ্লাদিমির নবোকভের মতো সেই সময়ে বিশ্বের তাবড় সাহিত্যিকদের নাম । তবে প্রতিযোগীদের মধ্যে ছিলেন বাংলার এক দিকপাল সাহিত্যিক। তিনি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৭১ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ কৃপালনি। সেই বছরেরই ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু প্রয়াত হন লেখক। নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু কাউকে মরণোত্তর নোবেল দেওয়া হয় না, তাই আর বিবেচিত হয়নি তারাশঙ্করের নাম।

প্রসঙ্গত, এতবছর ধরে শুধুই নোবেলজয়ীদের নাম প্রকাশ করত সুইডিশ কমিটি। তবে এবছর পুরোনো আর্কাইভ প্রকাশ করে কমিটি। জনসমক্ষে আসে ওই বছরের মনোনীত ব্যক্তিদের নাম। এই আবহে মনোনয়নের ৫১ বছর পর জানা গেল যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

১৮৮৮ সালের ২৩ জুলাই বীরভূমের লাভপুরে জন্ম তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের । সারা জীবনে লিখেছেন ৬৫টি উপন্যাস, ১২টি নাটক ও ৫৩টি গল্প সংকলন। পেয়েছিলেন রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠের মতো পুরস্কার। পেয়েছেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণও।

তাঁর লেখার মধ্যে গণদেবতা, কবি, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, আরোগ্য নিকেতন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। রাঢ়বাংলার ভাষ্য তাঁর লেখায় জীবন্ত হয়ে উঠত। যদি সত্যিই তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পেতেন, তাহলে সাহিত্যে দেশের দ্বিতীয় নোবেলটিও আসত এক বাঙালিরই হাত ধরেই।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন