মহিষাদল প্রেস কর্নার, আর্টটিউন ও সুবর্ণরেখার আয়োজনে মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল প্রথম শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
বর্তমান সময়ে শিশুদের মানসিকতা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে যে অসংলগ্ন ও অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা থাকে এবং তার ফলে যে একটি শিশুর মানসিকতা কতটা আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং শিশুটি অবক্ষয়ের পথে কী ভাবে তলিয়ে যায় তা তুলে ধরে মহিষাদল স্ট্রিট শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের সেরার সেরা পুরস্কার পেল ‘হিট উইকেট’। শান্তনু সাহার এই শর্ট ফিল্ম দিয়েই দু’দিনের শর্ট ফিল্ম উৎসব শুরু হয় মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গনে। দু’দিনে কুড়িটি শর্টফিল্ম দেখানো হয় বিনামূল্যে। তারমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর সহ জেলার নির্মাতাদের তৈরি ছবির সংখ্যা ছিল ১৫টি। কলকাতার চারটি। তবে বিভিন্ন জেলা ও কলকাতা থেকে এই উৎসবে দেখানোর জন্য ৩৩ জন নির্মাতা তাঁদের ছবি জমা দিয়েছিলেন।
ছবি বাছাইয়ের জুরি বোর্ডে থাকা রাজ পরিবারের সদস্য শৌর্য্যপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘‘প্রতিটি ছবির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক বার্তা রয়েছে। যা দর্শকদের ভালো লেগেছে। জেলায় এই ধরণের উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই শর্ট ফিল্ম নির্মাতাদের উৎসাহিত করবে।’’ শনিবার এই উৎসবের উদ্বোধন করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হরিপদ মাইতি বলেন, ‘‘এই ধরণের আয়োজন মহিষাদলের সাংস্কৃতিক আবহকে আরও সমৃদ্ধ করল। এই আয়োজন যেন প্রতিবছর হয়।’’ স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীও অভিভূত এই আয়োজনে। তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চতভাবেই স্ট্রিট শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল মহিষাদলের সাংস্কৃতিক জগতের মুকুটে একটা পালক যোগ করল।’’
অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মহিষাদল প্রেস কর্নার, আর্টটিউন ও সুবর্ণরেখার আয়োজনে মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে শনিবার ও রবিবার এই উৎসবে প্রথম দিনে প্রায় দুইহাজার ও দ্বিতীয় দিনে তিনহাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। জেলার প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পীদের প্রচারের আলোয় আনতেই ‘মহিষাদল স্ট্রিট শর্ট ফিল্ম’ উৎসবের আয়োজন। এই ধরণের আয়োজন এই জেলায় তো বটেই, কলকাতার বাইরে অন্য কোথাও আগে হয়নি বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।
মহিষাদল প্রেস কর্নারের সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ধরণের অভিনব উদ্যোগ মহিষাদল তো বটেই আমাদের জেলায় প্রথম। এই উদ্যোগ জেলার তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পীদের উৎসাহিত করবে।’’ এই শর্ট স্ট্রিট ফিল্ম ফেস্টিভালের অন্যতম উদ্যোক্তা অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতার নির্মাতারা তো অনেক সুযোগ, সুবিধা পান। জেলায় যাঁরা ছবি তৈরি করেন, তাঁরা প্ল্যাটফর্ম পান না। আমরা সেই কাজটিই করতে চেয়েছি।’’ জুরির পুরস্কার ছাড়াও দর্শকদের বিচারে পুরস্কার পেল ভরসা, মাই বেস্ট ফ্রেন্ড, বিবর্তন ও ফিরে দেখা এই চারটি শর্টফিল্ম। এই ছবিগুলি পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই তৈরি হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন