ঘুমপাড়ানি অলস দুপুর রোদ
চোখ জ্বালানো গরম হওয়ার ক্ষত,
শীততাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বোধ
চায় ক্ষমতা,করতে কুক্ষিগত..
ভালো রাখতে লড়াই হয়না কেন
জরুরি সবার ভালো থাকাটাই,
চেন টেনে আটকানো যায় ট্রেনও
আগুন কতটা দেখবে উড়লে ছাই..
সত্যিকারের ঘুমের জন্য আজও
সুখের গদি পড়েনা দরকার,
ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সে বড়লোক সাজো
লাইন দেবে পেলে জিনিসে ছাড়..
কেমন ছিলে বা আছো,জিজ্ঞাসা
ভালো মন্দ খবর কে কার রাখে,
কাজ হাসিলে মধুর করে ভাষা
হাসি মুখে খায় উচ্ছেটাকে ..
![]() |
ADVERTISEMENT |
দুই পিঠ
একটা চাবি
খুলতে পারে তালা,
সবই পায় শুনতে
প্রয়োজনে সে কালা..
একটা নদী
গ্রীষ্মে শুকোয় বুক,
কোন এক বর্ষাকালে
ছুটতে উন্মুখ..
একটা নৌকো
জুড়েছে নদীর পাড়,
মাত্র জোটে পান্তা
তারই ঘরে অনাহার..
একটা শিশির বিন্দু
ভোরেতে বাড়ায় শোভা,
সূর্য করেছে তাকে
রোজই ক্ষণপ্রভা..
একটা রঙ তুলি
ফোটাবে ছবি তার,
জ্বালিয়ে মনের আলো
যে ঘোচাবে অন্ধকার..
![]() |
ADVERTISEMENT |
কবি পরিচিতি
সন্দীপন গুপ্ত, জন্ম ১৬ নভেম্বর, বর্ধমানে। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (বি. টেক) বর্তমানে নিজের ইনস্টিটিউটেই (পায়োনিয়ার) শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত, পিতা শ্রী সনৎকুমার গুপ্ত একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবী ও মাতা শ্রীমতি সান্ত্বনা গুপ্ত।লেখালিখির শুরু কলেজ জীবন পার করে এবং হঠাৎই। তবে স্কুলজীবনে মাগাজিন এ গল্প বহুবার লিখেছেন। আর ছোটবেলা থেকে ছন্দ মিলিয়ে কথা বলার অভ্যাস থেকেই হয়তো আজ এই ছন্দ- পত্তন। প্রকাশিত গ্রন্থ তিনটি (রুবাই,বিবর-তন,যে প্রেমিক কান দেয়নি মুখের কথায়)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন