প্রতি বছর জয়পুর সাহিত্য উৎসব বিশ্বের বিখ্যাত লেখক, বুদ্ধিজীবী, মানবতাবাদী, রাজনীতিবিদ, শিল্পোদ্যোগী, ক্রীড়াবিদ এবং বিনোদনকারীদের একটি মঞ্চে একত্রিত করে।
![]() |
ফাইল ছবি |
শিউলির গন্ধ মেখে যেমন শরৎ আসে, তেমনই জয়পুর সাহিত্য উৎসবের (Jaipur Literature Festival) সুবাস নিয়ে আসে নভেম্বর। ২০২৪-এর ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৭তম জয়পুর সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার আসর বসছে জয়পুরের হোটেল ক্লার্কস আমেরে। বিশ্বব্যাপী সাহিত্যপ্রেমীদের এখনই ওই উৎসব নিয়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ উৎসবের বক্তাদের তালিকা নিয়ে। আয়োজকরা এবার ২৫ জন বক্তার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, উৎসবের ১৭তম সংস্করণে দেশ-িবদেশের তিন শতাধিক বক্তা অংশ নেবেন। এই উৎসবে বিভিন্ন দিনে তিনশোর বেশি বক্তা উপস্থিত হবেন মঞ্চে।
সদ্য প্রকাশিত তালিকায় রয়েছেন লেখক, চিন্তাবিদ, আদর্শবাদী, বাস্তববাদী, স্বপ্নদর্শী, বুদ্ধিজীবী, অ্যাভান্ট-গার্ড অনুশীলনকারী এবং আইকনোক্লাস্টরা। ২৫ জন বক্তার তালিকায় একটি বৈচিত্র্যময় এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ মিশ্রণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন–
অখিল কাত্যাল (কবি, অনুবাদক এবং ‘লাইক ব্লাড অন দ্য বিটেন টংগ: দিল্লি পোয়েমস অ্যান্ড হাউ মানি কান্ট্রিস ডজ দ্য ইন্ডাস ক্রস’-এর লেখক।)
অমিয় শ্রীনিবাসন (শিক্ষাবিদ এবং ‘দ্য রাইট টু সেক্স’-এর লেখক)
অ্যান্ড্রু কুইন্টম্যান (তিব্বত ও হিমালয়ের বৌদ্ধ ঐতিহ্যের পণ্ডিত এবং ‘দ্য লাইফ অফ মিলারেপা’-র লেখক)
অরুন্ধতী সুব্রামানিয়াম (কবি এবং সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক)
বনি গারমাস (কপিরাইটার, সৃজনশীল পরিচালক এবং ‘লেসন ইন কেমিস্ট্রি’র লেখক, এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস)
চিত্রা ব্যানার্জি দিবাকারুণী (‘দ্য প্যালেস অফ ইলিউশনস’, ‘দ্য ফরেস্ট অফ এনচান্টমেন্ট’, ‘দ্য লাস্ট কুইন’ এবং ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স’-এর মতো বেস্ট-সেলিং বইয়ের লেখক)
ড্যামন গালগুট (বুকার পুরস্কার বিজয়ী ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার)
ডায়ানা ইভান্স (অরেঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং সমালোচক)
গুলজার (কিংবদন্তি কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার যিনি একশোটিরও বেশি বই লিখেছেন)
হার্নান দিয়াজ (পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী এবং নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট-সেলিং ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড ইন দ্য ডিসট্যান্স’-এর লেখক)
কাই বার্ড (পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী জীবনীকার, সাংবাদিক এবং ‘আমেরিকান প্রমিথিউস দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে. রবার্ট ওপেনহাইমার’-এর লেখক)
কেটি কিতামুরা (সাংবাদিক এবং শিল্প সমালোচক, পেন লংলিস্টেড বই ইনটিমেসিস-এর লেখক)
কেলি দরজি (ভুটানি অভিনেতা, মডেল এবং শিল্পী এবং ‘দ্য হিডেন রেনবো’-র লেখক)
লুক সিসন (ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কিউরেটর এবং শিল্প ইতিহাসবিদ এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটজউইলিয়াম মিউজিয়ামের ডিরেক্টর)
বিচারপতি মদন বি লোকুর (ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি)
ম্যালকম টার্নবুল এসি (অস্ট্রেলিয়ার ২৯তম প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী)
মারিয়া গোরেটি (টেলিভিশন উপস্থাপক, অভিনেতা এবং রান্নার বই ‘ফ্রম মাই কিচেন টু ইয়োরস’-এর লেখক)
মার্ভে এমরে (দ্য অ্যানোটেটেড মিসেস ডালোওয়ের একাডেমিক এবং লেখক)।
এছাড়াও উৎসবে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন কূটনীতিক নবদীপ সুরি, পুলিৎজার পুরস্কার এবং জর্জ পোল্ক পুরস্কার প্রাপক এবং সাংবাদিক রজার কোহেন, গ্রাফিক নভেলিস্ট, শিল্পী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সারনাথ বন্দে্যাপাধ্যায়, ‘ডওন উইথ দ্য পুওর’-এর লেখক সুমনা সিনহা, ‘দ্য রিপারস গার্ডেন: ডেথ অ্যান্ড পাওয়ার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড অফ আটলান্টিক স্লেভারি অ্যান্ড ট্যাকিস রিভোল্ট: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আটলান্টিক স্লেভ ওয়ার’-এর লেখক ভিনসেন্ট ব্রাউন, লেখক, সম্পাদক এবং নাট্যকার বিবেক শানভাগ, জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং ‘দ্য আইডেন্টিটি ট্র্যাপ: আ স্টোরি অফ আইডিয়াস অ্যান্ড পাওয়ার ইন আওয়ার টাইম’ এবং ‘দ্য গ্রেট এক্সপেরিমেন্ট: হোয়াই ডাইভার্স ডেমোক্রেসিস ফ্যাল অ্যাপার্ট অ্যান্ড হাউ দে ক্যান এনডুর’-এর লেখক ইয়াছা মাউঙ্ক।
প্রতি বছর জয়পুর সাহিত্য উৎসব বিশ্বের বিখ্যাত লেখক, বুদ্ধিজীবী, মানবতাবাদী, রাজনীতিবিদ, শিল্পোদ্যোগী, ক্রীড়াবিদ এবং বিনোদনকারীদের একটি মঞ্চে একত্রিত করে। যাঁরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অর্থপূর্ণ বক্তব্যের পক্ষে সওয়াল। ২০০৭ সালে সূচনাবর্ষ থেকে উৎসবে প্রায় ৫ হাজার বক্তা এবং অংশগ্রহণকারী এই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। য সমারোহ সারা বিশ্ব থেকে ১০ লক্ষের বেশি বইপ্রেমিককে আকৃষ্ট করেছে৷ বর্তমানে জয়পুর সাহিত্য উৎসব একটি বিশ্ব সাহিত্য দর্শনে পরিণত হয়েছে, যা চিত্তাকর্ষক কথোপকথন, বিতর্ক এবং মত বিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বইতন্ত্র ডেস্ক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন