৬২ বছরের লেখিকা তাঁর পাঠকদের কাছ থেকে যেমন আগাম শুভেচ্ছা পেয়েছেন, তেমনই এক শ্রেণীর নেটিজেনের সমালোচনা ও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন।
রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে তসলিমা লিখেছেন, ‘৬২ হাজার শব্দের একখানা নন-ফিকশান বাংলা পান্ডুলিপি রেডি করেছি। বিষয় নারীর সমানাধিকার, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবতা। কিন্তু পাবলিশার কোথায়? বড় পাবলিশাররা আমার নাম শুনে ভয় পান। ছোট পাবলিশাররা লেখকদের রয়্যালটি দেওয়ার অভ্যেস এখনও করেননি। তাই মাঝারি পাবলিশার খুঁজছি। যাঁরা ফালতু ভীতুর ডিম নন, যাঁরা ডিস্ট্রিবিউশান ভাল করেন, যাঁরা অ্যাডভান্স রয়্যাল্টি দেন, রয়্যালটি স্টেট্মেন্ট দেন, যাঁরা সৎ, শিক্ষিত, সচেতন। যাঁরা লেখকদের প্রাপ্য সম্মান দিতে জানেন। আছে এমন কেউ?’
পোস্টে ৬২ বছরের লেখিকা তাঁর পাঠকদের কাছ থেকে যেমন আগাম শুভেচ্ছা পেয়েছেন, তেমনই এক শ্রেণীর নেটিজেনের সমালোচনা ও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। পাঠক ও বইপ্রেমীদের কাছ থেকে তাঁর নতুন বইটি প্রকাশের জন্য ‘ডিজিটাল বুই’ সহ বিবিধ পরামর্শও পেয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা।
নয়ের দশকে নিজের লেখা সাহিত্যের কারণে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ফতোয়ার মুখে পড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। বহুবছর ধরেই তিনি বাংলাদেশে থাকেন না। ইউরোপ, আমেরিকার পর আপাতত তসলিমার ঠিকানা দিল্লি।
এদিকে, লেখিকার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করেছন আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গণি। মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি তসলিমার পোস্টে মন্তব্য করেন ‘বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী আপনার বই ছাপবে না? আগামী প্রকাশনী ভালো রয়্যালটি দেয় শুনেছি। এছাড়া তাদের প্রচার ও ডিস্ট্রিবিউশন ভালো।’ তার প্রতিক্রিয়ায় লেখিকা লেখেন, ‘ওঁরা আমার অনুমতি ছাড়া আমার বই ছাপাচ্ছেন। আমার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, আমাকে কোনও রয়্যালটি দেন না, কিন্তু বই ছাপান। নীলক্ষেতের পাইরেট ব্যবসায়ীদের মতো।’ পরে তার পরিপ্রেক্ষিতে গণি বলেন, “‘তসলিমার সব বই প্রকাশ করতে চেয়ে আমরা তার সাথে চুক্তি করেছিলাম। তাকে আগাম টাকা দিয়েছি, একাধিকবার রয়্যালটি দিয়েছি। আমি দিল্লিতে গিয়েও টাকা দিয়ে এসেছি। তারপরও তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে অন্য প্রকাশকদের বই দিয়েছেন, এখন প্রকাশক খুঁজছেন।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন