এই সপ্তাহে, স্টেট বোর্ড অফ এডুকেশন দক্ষিণ ক্যারোলিনার সমস্ত সরকারি স্কুল থেকে আরও ১০টি বই নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যার মধ্যে মালিন্দা লো-র লেখা ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের উপন্যাস Last Night at the Telegraph Club-ও রয়েছে। কেন, কী রয়েছে বইটিতে?
বইয়ের নাম: Last Night at the Telegraph Club
লেখিকা: মালিন্দা লো (Malinda Lo)
ধরন: ঐতিহাসিক কুইয়ার ফিকশন, ইয়াং অ্যাডাল্ট উপন্যাস
প্রকাশকাল: ২০২১
গল্পের সারাংশ:
Last Night at the Telegraph Club উপন্যাসটি ১৯৫০-এর দশকের আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরের চায়নাটাউন এলাকায় বসবাসকারী এক চিনা-মার্কিন কিশোরী লিলি হু-র গল্প। লিলি একজন মেধাবী ছাত্রী, কিন্তু তার ভেতরের অনুভূতিগুলো সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির সঙ্গে মেলে না। এক সময় সে বুঝতে শুরু করে যে, তার নারী-আকর্ষণ রয়েছে– একটি এমন অনুভব যা সেই সময়ের মার্কিন সমাজে, বিশেষ করে চাইনিজ অভিবাসী পরিবারের মধ্যে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। তার জীবনে এক বাঁক আসে যখন ক্যাথি নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হয়। লিলি প্রথমবার ‘The Telegraph Club’ নামে একটি লেসবিয়ান বার-এ যায়। সেখানে তারা সমাজের চোখ এড়িয়ে নিজেদের ভালোবাসার স্বীকৃতি খুঁজে পায়। কিন্তু এই ভালোবাসা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সে সময় কুইয়ার মানুষদের বিরুদ্ধে প্রচুর বৈষম্য ও হুমকি ছিল। উপরন্তু, অ্যামেরিকায় ম্যাকার্থিজম চলছে। কমিউনিজমের ভয় আর সন্দেহে মানুষ বিভ্রান্ত। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় চাপে লিলির পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই উপন্যাসে লিলি তার ভালোবাসা, পরিচয়, ও নিজের পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে।
পর্যালোচনা:
Last Night at the Telegraph Club একটি সাহসী, সংবেদনশীল এবং সাহিত্য সমৃদ্ধ কিশোর উপন্যাস। লেখিকা মালিন্দা লো অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভবের মিশেল ঘটিয়েছেন এখানে। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর বাস্তবতা। কিশোরী লিলির অভিজ্ঞতাগুলি কখনওই অতিনাটকীয় নয়, বরং খুবই মানবিক এবং স্পর্শকাতর। ১৯৫০-এর দশকের আমেরিকার জাতিগত ও যৌন বৈষম্যের চিত্র যেমন নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে, তেমনি কিশোর প্রেমের সূচনাও খুবই আন্তরিকভাবে চিত্রায়িত। লিলির চরিত্রটি খুব যত্নসহকারে গঠিত। সে একই সঙ্গে কৌতূহলী, দ্বিধাগ্রস্ত এবং সাহসী। লেখিকা চিনা-মার্কিন অভিবাসী পরিবারের সেই সময়কার মার্কিন সমাজে পারিবারিক টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, এবং ভালোবাসার খোঁজকে অসাধারণভাবে মেলে ধরেছেন। এটি শুধু একটি কুইয়ার প্রেমকাহিনি নয়, বরং এটি এক কিশোরীর আত্ম-অন্বেষণের গল্প, যা পাঠককে ভাবায়, ছুঁয়ে যায় এবং ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মুখোমুখি করে।
রেটিং: ৫ এর মধ্যে ৪.৫
আপনি যদি ইতিহাসপ্রিয়, সংবেদনশীল প্রেমকাহিনি এবং পরিচয় খোঁজার গল্প ভালোবাসেন, তবে Last Night at the Telegraph Club আপনার পাঠতালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত।
বইয়ের নাম: Last Night at the Telegraph Club
লেখিকা: মালিন্দা লো (Malinda Lo)
ধরন: ঐতিহাসিক কুইয়ার ফিকশন, ইয়াং অ্যাডাল্ট উপন্যাস
প্রকাশকাল: ২০২১
গল্পের সারাংশ:
Last Night at the Telegraph Club উপন্যাসটি ১৯৫০-এর দশকের আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরের চায়নাটাউন এলাকায় বসবাসকারী এক চিনা-মার্কিন কিশোরী লিলি হু-র গল্প। লিলি একজন মেধাবী ছাত্রী, কিন্তু তার ভেতরের অনুভূতিগুলো সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির সঙ্গে মেলে না। এক সময় সে বুঝতে শুরু করে যে, তার নারী-আকর্ষণ রয়েছে– একটি এমন অনুভব যা সেই সময়ের মার্কিন সমাজে, বিশেষ করে চাইনিজ অভিবাসী পরিবারের মধ্যে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। তার জীবনে এক বাঁক আসে যখন ক্যাথি নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হয়। লিলি প্রথমবার ‘The Telegraph Club’ নামে একটি লেসবিয়ান বার-এ যায়। সেখানে তারা সমাজের চোখ এড়িয়ে নিজেদের ভালোবাসার স্বীকৃতি খুঁজে পায়। কিন্তু এই ভালোবাসা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সে সময় কুইয়ার মানুষদের বিরুদ্ধে প্রচুর বৈষম্য ও হুমকি ছিল। উপরন্তু, অ্যামেরিকায় ম্যাকার্থিজম চলছে। কমিউনিজমের ভয় আর সন্দেহে মানুষ বিভ্রান্ত। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় চাপে লিলির পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই উপন্যাসে লিলি তার ভালোবাসা, পরিচয়, ও নিজের পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে।
পর্যালোচনা:
Last Night at the Telegraph Club একটি সাহসী, সংবেদনশীল এবং সাহিত্য সমৃদ্ধ কিশোর উপন্যাস। লেখিকা মালিন্দা লো অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভবের মিশেল ঘটিয়েছেন এখানে। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর বাস্তবতা। কিশোরী লিলির অভিজ্ঞতাগুলি কখনওই অতিনাটকীয় নয়, বরং খুবই মানবিক এবং স্পর্শকাতর। ১৯৫০-এর দশকের আমেরিকার জাতিগত ও যৌন বৈষম্যের চিত্র যেমন নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে, তেমনি কিশোর প্রেমের সূচনাও খুবই আন্তরিকভাবে চিত্রায়িত। লিলির চরিত্রটি খুব যত্নসহকারে গঠিত। সে একই সঙ্গে কৌতূহলী, দ্বিধাগ্রস্ত এবং সাহসী। লেখিকা চিনা-মার্কিন অভিবাসী পরিবারের সেই সময়কার মার্কিন সমাজে পারিবারিক টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, এবং ভালোবাসার খোঁজকে অসাধারণভাবে মেলে ধরেছেন। এটি শুধু একটি কুইয়ার প্রেমকাহিনি নয়, বরং এটি এক কিশোরীর আত্ম-অন্বেষণের গল্প, যা পাঠককে ভাবায়, ছুঁয়ে যায় এবং ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মুখোমুখি করে।
রেটিং: ৫ এর মধ্যে ৪.৫
আপনি যদি ইতিহাসপ্রিয়, সংবেদনশীল প্রেমকাহিনি এবং পরিচয় খোঁজার গল্প ভালোবাসেন, তবে Last Night at the Telegraph Club আপনার পাঠতালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন