প্রচলিত পর্নোগ্রাফি একবিধ নির্দিষ্ট ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ থাকে, বিকল্প পর্নোগ্রাফি কিন্তু দর্শকদের এমন এক প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড় করায়, যা প্রথাগত রীতিনীতি থেকে ভিন্ন।
ব্রাসেলস। ইউরোপের সেই শহর, যা সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন এবং স্বাধীন চিন্তার সুরভি ছড়িয়ে আছে। এই শহরেই এবার পর্ন ফিল্ম জগত সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি অভিনব ও বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে আগামী ২ থেকে ৫ মে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (BRUSSELS PORN FILM FESTIVAL)। এই সিনে উৎসব শুধুমাত্র একটি সিনেমা প্রদর্শনী নয়, বরং যৌনতার বিভিন্ন রূপ, অভিব্যক্তি ও ন্যারেটিভের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
যেখানে বর্তমান সময়ে প্রচলিত পর্নোগ্রাফি একবিধ নির্দিষ্ট ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ থাকে, বিকল্প পর্নোগ্রাফি কিন্তু দর্শকদের এমন এক প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড় করায়, যা প্রথাগত রীতিনীতি থেকে অনেকটাই ভিন্ন। এই ফেস্টিভ্যালের মূল ধারণাটি হলো– আপাতদৃষ্টিতে অশ্লীলতার দিকে পাল্লা ভারী হলেও এমন এক চলচ্চিত্র ধারাকে আবিষ্কার করা, যেখানে পরীক্ষামূলক, কাব্যিক এবং তথ্যচিত্র-শৈলী নানান ধারার যৌন-চলচ্চিত্র একত্রিত হয়।
আয়োজকরা এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে, বিকল্প পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে এমন উপস্থাপনা প্রদান করা হয় যেখানে নিপীড়ন, নারীবিদ্বেষ, সক্ষমতা বা অন্য কোনও সামাজিক কলঙ্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা থাকে। এই ভাবনার প্রতিফলন সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, যেখানে সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হবে। সেইসঙ্গে অবশ্যই বেলজিয়ামের নিজস্ব সৃজনশীলতার স্বাক্ষর তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীও থাকবে।
ফেস্টিভ্যাল শুধুমাত্র চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রতিটি স্ক্রিনিংয়ের পর পরিচালক এবং শিল্পীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে থাকতে পারবেন দর্শকরা। যা দর্শকদের সিনেমার অন্তর্নিহিত ভাবনা ও নির্মাতাদের দর্শন আরও ভালোভাবে অনুধাবন করার সুযোগ দেবে।
উপরি পাওনা, ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে বিউরসচৌবার্গে ১৬টি স্ট্যান্ড থাকবে, যেখানে দর্শকরা পোশাক, অন্তর্বাস, গয়না এবং এমনকি যৌনউত্তেজক সিরামিক সামগ্রী কিনতে পারবেন। একটি খোলা মঞ্চ ও কর্মশালার মাধ্যমে চিত্রনাট্য লেখা থেকে শুরু করে বাড়িতে লুব্রিকেন্ট তৈরির মতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিকল্প যৌনতা ও মুক্ত চিন্তার বার্তা প্রসারের পাশাপাশি, সমাজের প্রতিকূল ও পুরোনো মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নতুন বীজ রোপণ।
ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুধুমাত্র একটি সিনেমা উৎসব ভাবলে ভুল হবে। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ। বস্তুত, নারী, সমকামী ও উত্তর-ঔপনিবেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথাগত আদর্শগত বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে বিরোধিতার মাধ্যমেই নতুন চিন্তার প্রসার ঘটানো সম্ভব। এখানে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলো সেইসব ব্যক্তি, পরিচালক, অভিনেতা ও যৌনকর্মীদের গল্প তুলে ধরবে যারা নিজেদের অভিজ্ঞতা, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামকে শিল্পময় রূপে প্রকাশ করে।
উৎসবের এক বিশেষ আয়োজন, SNAP! (যৌনকর্মীর আখ্যান ও রাজনীতি) পরিবেশনা, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি এমন এক প্রদর্শনী যা যৌনকর্মীদের সংগ্রাম, অধিকার ও মানবিক মর্যাদাকে সামনে আনবে। বেলজিয়ামের যৌনকর্মীদের অপরাধমুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ এবং সেই সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে এই আয়োজন।
ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আমাদের দেখায় যে, চলচ্চিত্র কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। বিকল্প পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হচ্ছে, তা প্রথাগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যৌনতার বহুমাত্রিকতা ও স্বাধীনতা উদযাপন করে।
যারা সৃজনশীল চিন্তা ও মুক্ত ভাবনার প্রতি আকৃষ্ট, তাদের জন্য এই ফেস্টিভ্যাল এক অনন্য সুযোগ। মুক্ত চিন্তা, শিল্পের নান্দনিকতা এবং সামাজিক ন্যায়ের লড়াই– এসবই একত্রে এসে সব মানুষকে এক নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস। ব্রাসেলসের এই উৎসব শুধুমাত্র সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে নয়, বরং একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে মুক্তির নতুন অধ্যায় হিসাবে।
ব্রাসেলস। ইউরোপের সেই শহর, যা সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন এবং স্বাধীন চিন্তার সুরভি ছড়িয়ে আছে। এই শহরেই এবার পর্ন ফিল্ম জগত সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি অভিনব ও বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে আগামী ২ থেকে ৫ মে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (BRUSSELS PORN FILM FESTIVAL)। এই সিনে উৎসব শুধুমাত্র একটি সিনেমা প্রদর্শনী নয়, বরং যৌনতার বিভিন্ন রূপ, অভিব্যক্তি ও ন্যারেটিভের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
যেখানে বর্তমান সময়ে প্রচলিত পর্নোগ্রাফি একবিধ নির্দিষ্ট ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ থাকে, বিকল্প পর্নোগ্রাফি কিন্তু দর্শকদের এমন এক প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড় করায়, যা প্রথাগত রীতিনীতি থেকে অনেকটাই ভিন্ন। এই ফেস্টিভ্যালের মূল ধারণাটি হলো– আপাতদৃষ্টিতে অশ্লীলতার দিকে পাল্লা ভারী হলেও এমন এক চলচ্চিত্র ধারাকে আবিষ্কার করা, যেখানে পরীক্ষামূলক, কাব্যিক এবং তথ্যচিত্র-শৈলী নানান ধারার যৌন-চলচ্চিত্র একত্রিত হয়।
আয়োজকরা এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে, বিকল্প পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে এমন উপস্থাপনা প্রদান করা হয় যেখানে নিপীড়ন, নারীবিদ্বেষ, সক্ষমতা বা অন্য কোনও সামাজিক কলঙ্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা থাকে। এই ভাবনার প্রতিফলন সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, যেখানে সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হবে। সেইসঙ্গে অবশ্যই বেলজিয়ামের নিজস্ব সৃজনশীলতার স্বাক্ষর তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীও থাকবে।
ফেস্টিভ্যাল শুধুমাত্র চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রতিটি স্ক্রিনিংয়ের পর পরিচালক এবং শিল্পীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে থাকতে পারবেন দর্শকরা। যা দর্শকদের সিনেমার অন্তর্নিহিত ভাবনা ও নির্মাতাদের দর্শন আরও ভালোভাবে অনুধাবন করার সুযোগ দেবে।
উপরি পাওনা, ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে বিউরসচৌবার্গে ১৬টি স্ট্যান্ড থাকবে, যেখানে দর্শকরা পোশাক, অন্তর্বাস, গয়না এবং এমনকি যৌনউত্তেজক সিরামিক সামগ্রী কিনতে পারবেন। একটি খোলা মঞ্চ ও কর্মশালার মাধ্যমে চিত্রনাট্য লেখা থেকে শুরু করে বাড়িতে লুব্রিকেন্ট তৈরির মতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিকল্প যৌনতা ও মুক্ত চিন্তার বার্তা প্রসারের পাশাপাশি, সমাজের প্রতিকূল ও পুরোনো মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নতুন বীজ রোপণ।
ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুধুমাত্র একটি সিনেমা উৎসব ভাবলে ভুল হবে। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ। বস্তুত, নারী, সমকামী ও উত্তর-ঔপনিবেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথাগত আদর্শগত বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে বিরোধিতার মাধ্যমেই নতুন চিন্তার প্রসার ঘটানো সম্ভব। এখানে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলো সেইসব ব্যক্তি, পরিচালক, অভিনেতা ও যৌনকর্মীদের গল্প তুলে ধরবে যারা নিজেদের অভিজ্ঞতা, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামকে শিল্পময় রূপে প্রকাশ করে।
উৎসবের এক বিশেষ আয়োজন, SNAP! (যৌনকর্মীর আখ্যান ও রাজনীতি) পরিবেশনা, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি এমন এক প্রদর্শনী যা যৌনকর্মীদের সংগ্রাম, অধিকার ও মানবিক মর্যাদাকে সামনে আনবে। বেলজিয়ামের যৌনকর্মীদের অপরাধমুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ এবং সেই সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে এই আয়োজন।
ব্রাসেলস পর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আমাদের দেখায় যে, চলচ্চিত্র কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। বিকল্প পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হচ্ছে, তা প্রথাগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যৌনতার বহুমাত্রিকতা ও স্বাধীনতা উদযাপন করে।
যারা সৃজনশীল চিন্তা ও মুক্ত ভাবনার প্রতি আকৃষ্ট, তাদের জন্য এই ফেস্টিভ্যাল এক অনন্য সুযোগ। মুক্ত চিন্তা, শিল্পের নান্দনিকতা এবং সামাজিক ন্যায়ের লড়াই– এসবই একত্রে এসে সব মানুষকে এক নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস। ব্রাসেলসের এই উৎসব শুধুমাত্র সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে নয়, বরং একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে মুক্তির নতুন অধ্যায় হিসাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন