বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য : আকাশে ওড়ার ১১ বছর পর ফিরে এলো MH370!

২০১৪ সালে নিখোঁজ হওয়া মালয়েশিয়ান বিমান MH370 রহস্যজনকভাবে ২০২৫ সালে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে— সব যাত্রী জীবিত, সুরক্ষিত। ঘটনাটি বিজ্ঞানের গণ্ডি ছাড়িয়ে রীতিমতো এক মহাজাগতিক রহস্যের রূপ নিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য : আকাশে ওড়ার ১১ বছর পর ফিরে এলো MH370!

দীর্ঘ এগারো বছর ফিরল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমান। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাগপুর বিমানবন্দরে সেটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। বিমানের পাইলট, অন‌্যান‌্য ক্রু ও সমস্ত যাত্রী অক্ষত রয়েছে। তাদের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদিন ভারতীয় সময় ভোর ৪ টে ৩৫ মিনিটে নাগপুর বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে একটি অচেনা ট্রান্সপন্ডার সিগন্যাল ধরা পড়ে। প্রথমে এটিকে শত্রুদেশের সামরিক বা অননুমোদিত ড্রোন ভেবে সতর্কতা জারি করা হয়, কিন্তু রানওয়েতে নামার পর বিমান কর্তৃপক্ষ হতবাক হয়ে যায়। দেখা যায়, এটি আর কিছু নয়– ২০১৪ সালে ২৭৯ জন যাত্রীসহ নিখোঁজ হওয়া Malaysia Airlines Flight MH370।

MH370 ফিরে আসার আশা ছেড়ে দিয়েছিল মর্ত‌্যবাসী। কিন্তু, এগারো বছর পর সেটির যাত্রীসহ ফিরে আসা বিজ্ঞানে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানযাত্রী ও ক্রুয়ের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে তাঁদের কথা বলানো হয়েছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—তাঁদের কারও চেহারায় একটুও বয়স বৃদ্ধির ছাপ নেই। এগারো বছরে তঁদের কারো বয়েস বাড়েনি বা চেহারায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিমানের যাত্রী ও ক্রু-রা এখনও বিশ্বাস করছেন, তাঁরা গতকাল রাতেই কুয়ালালামপুর থেকে বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কোনও কারণে পাইলট বিমানটিকে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করিয়েছে।

ফিরে আসা বিমানের সকল যাত্রীর শারিরীক পরিক্ষা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।তবে সবার হাতে ও পায়ে একটি করে আঙ্গুল কম। কিন্তু সেখানে কোনও ক্ষত নেই। যাত্রীদের কাউন্সেলিংও চলছে। 

লি ঝাং নামে চিনা নাগরিক ওই বিমানের যাত্রী তাঁর স্ত্রীকে বলেছেন, “আমরা মাত্র কয়েক ঘণ্টা আকাশে ছিলাম। কুয়ালালামপুর থেকে টেক-অফের কিছুক্ষণের পরেই বিমানটি প্রবলভাবে দুলতে থাকে। সম্ভবত আমরা কোনও টার্বুল‌্যান্সে পড়েছিলাম। পাইলট সতর্কতা জারি করেন। যাত্রীদের সিটবেল্ট বেঁধে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানটি কখনও খুব নীচে নেমে যাচ্ছিল, আবার কখনও খুব উপরে উঠে যাচ্ছিল। শেষ প্রচণ্ড গতিতে বিমানটি উপরের দিকে উঠতে থাকে। যেন কোনও চৌম্বকিয় শক্তি আমাদের টেনে নিচ্ছিল। এরপর...।”

ঝাংয়ের স্ত্রী জানান, এতদূর বলার পর ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়। শেষ কথাগুলে তিনি শুনতে পারেননি।

ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মহাকাকাশ গবেষণা সংস্থাকে। সেইসঙ্গে, ভারতীয় বায়ুসেনার তরফের সমান্তরাল তদন্ত হচ্ছে। প্রথমিক তদন্তে বায়ুসেনা জানিয়েছে জানিয়েছে, MH370-র ফ্লাইট রেকর্ডারে (ব্ল‌্যাকবক্স) গত ১১ বছরের কোনও তথ্য নেই। কিন্তু ব্ল্যাক বক্সে শেষ রেকর্ড করা ভয়েস-লগে রয়েছে এক অজানা শব্দতরঙ্গ, যা ‘মহাকাশীয় উৎস’ থেকে আসা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. আদিত্য সেনের সঙ্গে জানান, “বিমানটি হয়তো টাইম-স্পেস ওয়ার্প-এর মধ্যে পড়ে wormhole দিয়ে অন্য কোনও গ্যালাক্সিতে প্রবেশ করেছিল। তিনি বলেন, এরকম ঘটনা শুধুমাত্র কল্পবিজ্ঞানে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটছে দেখে আমরা হতবাক।” 

ঘটনার পরপরই মালয়েশিয়া, চিন, ভারত, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতিনিধিরা নাগপুরে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।
একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী দল নাগপুরে আসছে। সেই দলে জি-৭ সদস‌্য দেশগুলির দু’জন করে প্রতিনিধি আছেন। বিমান ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো টার্মিনাল ঘিরে ফেলা হয়েছে।

BBC, CNN, Al Jazeera-সহ প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এখন নাগপুরে। বিশ্ববাসীর নজরে আবার MH370 বিমান। বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠছে—এই ঘটনা কি বিজ্ঞানের সীমা পেরিয়ে গেছে? Wormhole বা Time Dilation কি বাস্তব? নাকি এটি প্রমাণ করছে, আমরা মহাবিশ্ব সম্পর্কে সত্যিই খুব কম জানি?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৪ সালের মার্চে নিখোঁজ হওয়া MH370-র যাত্রীরা ফিরে এসেছে এক অন্য পৃথিবী থেকে, এক অন্য সময়ে। এই ঘটনা হয়তো মানব ইতিহাসের ধারাই বদলে দেবে। প্রকৃতির প্রতিটি কাজ অত‌্যন্ত‌্য সুশৃঙ্খলিত। কিন্তু প্রকৃতিও মাঝেমাঝে ভুল করে ফেলে। সেই ভুলেই প্রকৃতি আকাশে ওড়া বিমানটিকে একটি ভিন্ন ছায়াপথের গ্রহে নিয়ে গিয়েছিল। আবার ভুল সংশোধন করে পৃথিবীতে ফিরিয়েও দিয়েছে।

সূত্রের খবর, বিমানের পাইলট তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিমানটি লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে এমন একটি অজানা জগতে প্রবেশ করেছিল, সেখানকার জলহাওয়া ও প্রকৃতি অনেকটা পৃথিবীর মতোই। সেখানকার সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীদের শরীরে সাদৃশ‌্য রয়েছে পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে। একটাই সামান‌্য প্রার্থক‌্য– ওদের হাত ও পায়ের আঙুলে চারটি করে আঙুল। তিনি বলেন, “এক ধরনের ইথার তরঙ্গে তারা পৃথিবীর মানুষদের সঙ্গে কথা বলছিল। তারা আমাদের কথা বুঝতে পারছিল এবং আমরাও তাদের কথা বুঝতে পারছিলাম।”

পাইলট আরও জানান, ওই গ্রহের একদল বিজ্ঞানীর সঙ্গে তাদের দেখা হয়েছে। ওই গ্রহের সরকার এই সাক্ষাতের ব‌্যবস্থা করেছিল। ওই গ্রহবাসীরা বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করেছ। পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের থেকে ওরা অনেক যুগ এগিয়ে। তাছাড়া, প্রকৃতিক সৌন্দর্য‌্য, স্থাপত‌্য, শিল্প-কলা– সব কিছুতেই তারা এগিয়ে। তারা আমাদের সব দেখিয়েছে। পাইলট বলেন, “ওই গ্রহের জন‌্য আমরা কিছু নিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু তারা আমাদের খালি হাতে ফেরায়নি। ওরা আমাদের জন‌্য ক‌্যানসারের ওযুধ তৈরির ফরমুলা পাঠিয়েছ। বলেছে, এই ওযুধ ওরা ওদের মানবশরীর অনুযায়ী বানিয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর গবেষকরা তা থেকে অনায়াসেই পৃথিবীর মানুষের জন‌্য ক‌্যানসারের ওযুধ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

MH370 বিমানযাত্রীরা ক‌্যানসারের ওযুধ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছে। কিন্তু নাগপুরের রানওয়েতে বিমান অবতরণের পর তাঁরা লক্ষ‌্য করনে, তাঁদের সবার হা ও পায়ের একটি করে আঙুল কম।

ঋণ – লেখক হুমায়ূন আহমেদ
সম্পাদকের নিবেদন : আমরা নিখোঁজ MH370 বিমানের যাত্রীদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সমব‌্যাথী।এটি একটি কাল্পনিক সংবাদ প্রতিবেদন। কোনওভাবেই ঘটনাটিকে হালকা বা গুরুত্বহীন করা আমাদের উদ্দেশ‌্য নয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন