নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো আমাদের শিখিয়েছেন যে ভাষা কেবল শব্দের সমষ্টি নয়, এটি একটি জাতির আত্মা।
আফ্রিকান সাহিত্য ও চিন্তার জগত এক শোকস্তব্ধ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। কেনিয়ার প্রথিতযশা লেখক, নাট্যকার ও চিন্তাবিদ নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো ২০২৫ সালের ২৮ মে, ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। ভাষার রাজনীতি, উপনিবেশোত্তর আফ্রিকার বাস্তবতা, এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির প্রশ্নে যিনি ছিলেন এক আপসহীন কণ্ঠস্বর—তাঁর প্রয়াণে একটি অধ্যায় শেষ হলো।
নগুগি প্রথমে লিখতেন ইংরেজিতে। তাঁর উপন্যাস A Grain of Wheat বা Petals of Blood কেবল সাহিত্যের সৌন্দর্য নয়, আফ্রিকার নিপীড়িত ইতিহাস ও সংগ্রামের স্বরূপও উন্মোচন করেছিল। কিন্তু এরপরই আসে তাঁর জীবনের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত—ইংরেজি ত্যাগ করে মাতৃভাষা গিকুয়ুতে সাহিত্যচর্চা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভাষা শুধুই যোগাযোগের মাধ্যম নয়, তা হলো সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বাহক। তাঁর প্রভাবশালী রচনা Decolonising the Mind এই ভাবনাকেই গভীর তাত্ত্বিক ভিত্তি দেয়।
নগুগি তাঁর লেখনীতে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা, ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি নিজেও কারাবরণ করেছেন, হয়রানির শিকার হয়েছেন, দেশান্তরী হয়েছেন। তবুও দমে যাননি। তাঁর জীবন হয়ে উঠেছে প্রতিরোধ ও মুক্তির প্রতীক।
নগুগির প্রয়াণ বিশ্ব সাহিত্যের কাছে এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি। নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর সাহিত্যজীবন তাঁর নৈতিক সাহসের প্রতিচ্ছবি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নোবেল পুরস্কার তাঁকে জীবদ্দশায় সম্মান জানায়নি—মরনোত্তর সেই রীতিও নেই। কিন্তু সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি চিরস্থায়ী হয়ে থাকবেন।
নগুগি মাতৃভাষার পক্ষে এক আন্দোলনের নাম। ২০২৫ সালের ২৮ মে, ৮৭ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার বাফোর্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নগুগির সৃষ্টিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Weep Not, Child (১৯৬৪)—পূর্ব আফ্রিকার প্রথম ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস। ১৯৭৭ সালে, গিকুয়ু ভাষায় লেখা তাঁর নাটক Ngaahika Ndeenda (I Will Marry When I Want) কেনিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করায় তিনি গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকাকালীন, তিনি টয়লেট পেপারে লিখে শেষ করেন উপন্যাস Devil on the Cross। এই অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে তাঁর স্মৃতিকথা Wrestling with the Devil: A Prison Memoir (২০১৮)-তে বর্ণনা করেন।
নগুগি কারামুক্তির পর, ১৯৮২ সালে তিনি নির্বাসনে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। নগুগি ছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্য বহুবার আলোচিত নাম, যদিও তিনি তা পাননি। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও ভাষা-সংগ্রাম বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর মৃত্যুতে সাহিত্যজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর কন্যা ও পুত্র সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান। নগুগির ইচ্ছানুযায়ী, তাঁর শেষকৃত্য হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও ভাষা-সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো আমাদের শিখিয়েছেন যে ভাষা কেবল শব্দের সমষ্টি নয়, এটি একটি জাতির আত্মা। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সংগ্রাম আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভাষার স্বাধীনতা অপরিহার্য।
নগুগি প্রথমে লিখতেন ইংরেজিতে। তাঁর উপন্যাস A Grain of Wheat বা Petals of Blood কেবল সাহিত্যের সৌন্দর্য নয়, আফ্রিকার নিপীড়িত ইতিহাস ও সংগ্রামের স্বরূপও উন্মোচন করেছিল। কিন্তু এরপরই আসে তাঁর জীবনের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত—ইংরেজি ত্যাগ করে মাতৃভাষা গিকুয়ুতে সাহিত্যচর্চা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভাষা শুধুই যোগাযোগের মাধ্যম নয়, তা হলো সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বাহক। তাঁর প্রভাবশালী রচনা Decolonising the Mind এই ভাবনাকেই গভীর তাত্ত্বিক ভিত্তি দেয়।
নগুগি তাঁর লেখনীতে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা, ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি নিজেও কারাবরণ করেছেন, হয়রানির শিকার হয়েছেন, দেশান্তরী হয়েছেন। তবুও দমে যাননি। তাঁর জীবন হয়ে উঠেছে প্রতিরোধ ও মুক্তির প্রতীক।
নগুগির প্রয়াণ বিশ্ব সাহিত্যের কাছে এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি। নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর সাহিত্যজীবন তাঁর নৈতিক সাহসের প্রতিচ্ছবি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নোবেল পুরস্কার তাঁকে জীবদ্দশায় সম্মান জানায়নি—মরনোত্তর সেই রীতিও নেই। কিন্তু সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি চিরস্থায়ী হয়ে থাকবেন।
নগুগি মাতৃভাষার পক্ষে এক আন্দোলনের নাম। ২০২৫ সালের ২৮ মে, ৮৭ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার বাফোর্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নগুগির সৃষ্টিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Weep Not, Child (১৯৬৪)—পূর্ব আফ্রিকার প্রথম ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস। ১৯৭৭ সালে, গিকুয়ু ভাষায় লেখা তাঁর নাটক Ngaahika Ndeenda (I Will Marry When I Want) কেনিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করায় তিনি গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকাকালীন, তিনি টয়লেট পেপারে লিখে শেষ করেন উপন্যাস Devil on the Cross। এই অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে তাঁর স্মৃতিকথা Wrestling with the Devil: A Prison Memoir (২০১৮)-তে বর্ণনা করেন।
নগুগি কারামুক্তির পর, ১৯৮২ সালে তিনি নির্বাসনে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। নগুগি ছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্য বহুবার আলোচিত নাম, যদিও তিনি তা পাননি। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও ভাষা-সংগ্রাম বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর মৃত্যুতে সাহিত্যজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর কন্যা ও পুত্র সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান। নগুগির ইচ্ছানুযায়ী, তাঁর শেষকৃত্য হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও ভাষা-সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো আমাদের শিখিয়েছেন যে ভাষা কেবল শব্দের সমষ্টি নয়, এটি একটি জাতির আত্মা। তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সংগ্রাম আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভাষার স্বাধীনতা অপরিহার্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন