খনা এক হতভাগ্য নারী। ইতিহাসের পাতায় কোথাও তার নাম নেই। তা যদি থাকত, তবে একজন প্রতিভাময়ী নারী জ্যোতির্বিদ এবং একজন কবি হিসেবে এক অনন্য নজিরের সৃষ্টি হত। খনা মেধাবী। তার প্রজ্ঞার ছটায় মুগ্ধ হয়েছে শত শত মানুষ। ইতিহাস আমাদের খনার পরিচয় জানাতে পারেনি। তাই তাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অজস্র মিথ। খনার বচনগুলিকে মানুষ যুগে যুগে প্রয়োজনে এবং ভালবেসে তার অন্তরে ধারণ করেছে। তাতে খনার গভীর জ্ঞানের পরিচয় থাকলেও সেগুলি জ্ঞানের ভারে ভারী নয়, বরং তা মানুষের নিত্য দিনের ব্যবহারের উপযোগী ও সহজ সরল। সংসারে খনা ভালবাসা পায়নি। দয়িতের হাত ধরে একদিন দেশ, ঘর বাড়ি ছেড়ে এসেছিল সে। স্বামীর অপমানে এগিয়ে এসেছে খনা সব সময়, তবুও তার স্বামী মিহিরই শেষে হয়েছে তার বৈরী। মিহির খনার প্রতিভাকে বেশি করে জানত বলেই খনাকে সে প্রবলভাবে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সে সফল হয়নি। কারণ হাজার বছর পরেও খনাকে নিয়ে উপন্যাস রচিত হয়, তার বচন বেঁচে থাকে কৃষকের প্রাণে মনে। চিরকাল বেঁচে থাকে খনার মনীষা। এই উপন্যাসে খনার জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে যুগের ইতিহাসও আলোচিত হয়েছে।
লেখিকা নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তীর এই বইটি প্রকাশিত হচ্ছে এ বারের আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন