বইতন্ত্র প্রতিনিধি
সম্প্রতি ফ্রি উইংসের আয়োজনে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর ওয়েস্ট গ্যালারিতে শিল্পী শুভঙ্কর সিংহের একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়ে গেল। শুধু এই প্রদর্শনীর জন্যই তাঁর আঁকা ১৮টি চিত্র এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। শুভঙ্করের পরিচয় নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ মানুষের মধ্যে ছবি দেখার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে বেশ কয়েকবছর আগেই গড়ে তোলেন তাঁর স্বপ্নের জগৎ ‘অ্যাডভার্স’। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন রং-তুলি-ক্যানভাস। খুব ছোটবেলা থেকেই ভারতের নানা গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে তাঁর ছবি। এখানে আরেকটা কথা বলে রাখা দরকার, চিত্রকর ছাড়াও শুভঙ্কর তাঁর বাবা সিদ্ধার্থ সিংয়ের মতোই লেখেলেখির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর লেখা ‘গড এনসিয়েন্ট এলিয়েন অর এ মিথ’ বইটি পাশ্চাত্য পাঠকমহলে সাড়া ফেলেছে।
শুভঙ্করের সাম্প্রতিক প্রদর্শনীর ছবিগুলির মূল বিষয় বেদ, পুরাণ, অাধ্যাত্মিক, দর্শন ও বিজ্ঞান। একটি ছবি ছিল ঋকবেদের দশম মণ্ডলের ১২৯তম স্তোত্র নাসদীয় শুক্ত (সৃষ্টি-উৎপত্তি নামেও পরিচিত)। এটি বিশ্বতত্ত্ব ও ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তির ধারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্বসৃষ্টির বিষয়ে বিশেষ কিছু টিকা সহ তথ্যপ্রদাণের জন্য সূত্রটি ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য দার্শনিক মহলে প্রসিদ্ধ। সেই তথ্য পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শুভঙ্কর। প্রতিটি ছবিতেই রয়েছে এক অদ্ভুত অর্থ এবং রহস্যও। তাঁর আঁকা বিশেষ কিছু ছবির নাম– ‘ইম্প্রেসন’, ‘চক্রবুহ্য’, ‘নির্বাণ’, ‘চক্র’, ফ্যামাস ফ্লাইট অফ রিবার্থ’, ‘রেজুভিনাটেড জেনারেশন’, ‘আননোন এক্সপ্রেসন’, ‘ক্রসিফিকেশন অফ ট্রুথ’, ‘ট্রাপড ইউদিন ইনফাইনাইট’, ‘ভ্যাগ্রন্ড গডেস’ ইত্যাদি। পেন্সিল স্কেচ, ওয়াটার কালার বা অয়েল পেইন্টিং ছাড়া তাঁর বেশিরভাগ ছবিই মূলত মিক্সড মিডিয়া এংব অ্যক্রিলিং রঙে তৈরি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন