![]() |
ওরপিংটনের দুর্গাপুজো |
সিমকি দাস। ওরপিংটন (লন্ডন)
বাংলা থেকে দূরত্ব পাঁচ হাজার কিলোমিটার। প্রকৃতি ও পরিবেশে যোজন ফারাক। বাংলায় শরতের আকশে যখন পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়ায়, মাঠে-মাঠে কাশফুল দোলা মৃদু হাওয়ায় দোলে, ভোরে শিশির ভেজা ঘাঁসের উপর শিউলি ঝড়ে থাকে, তখন সেই আগমনির সুর ধ্বনিত হয় প্রবাসে থাকা প্রতিটি বাঙালির মনেও। তঁারও মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোর আয়োজনে। বাংলার মতোই ষষ্ঠীর বোধন, সপ্তমীর কলাবউ স্নান, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি, প্রতি সন্ধ্যায় মায়ের আরতি, দশমীর সিঁদুর খেলা– এসব নিয়েই লন্ডনের ওরপিংটনের দুর্গাপুজোর হইচই।
ওরপিংটনে প্রবাসী বাঙালিদের দুর্গাপুজোর বয়স মাত্র পাঁচ বছর। প্রথম পুজো হয় সেই ২০১৮ সালে। ভালভাবে উৎসব হয়েছে পরের বছর ২০১৯ সালেও। তবে পরের দু’বছর করোনা অতিমারীর বিধিনিষেধের কারণে সেভাবে উৎসব মনে হয়নি। তবু, মহিলা পুরোহিত, অসংখ্য অ-বাঙালি সদসে্যর যোগদান আর করোনাকালের ভার্চুয়াল পুজো– গত চারবছরে এ সবকিছুই ঘটে গিয়েছে ওরপিংটনের দুর্গাপুজোয়।
![]() |
ওরপিংটেনর দুর্গাপুজো |
এবছর পুজোর আয়োজন হয় ওরপিংটনের স্যান্ডারসন হলে। ব্যস্ত কর্মজীবনের মধে্যও ইতালি থেকে পুরোহিত এসেছেন ওরপিংটনে পুজোর ক’দিনের জন্য। পুজো হয়েছে সমস্ত বিধি ও রীতি মেনে। প্রতে্যক সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ আকর্ষণ ছিল মহিলা সদস্যদের পারফরমেন্স জনপ্রিয় লোকগীতি– ‘টাপা-টিনি’র উপর। তাছাড়াও ছিল হরেক রকমের খাবারের স্টল, ভোগপ্রসাদ ও সকল দর্শনার্থীদের অাপ্যায়নের ব্যবস্থা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন