১৯৬৭ সাল থেকে আমেরিকায় থাকেন লেখক সুজন দাশগুপ্ত। নিউ জার্সির বসিন্দা তিনি। সেখানে বসেই সৃষ্টি করেছেন একেন চরিত্রের।
প্রয়াত গোয়েন্দা একেনবাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আমেরিকায় থাকতেন লেখক সুজন দাশগুপ্ত। সম্প্রতি ‘দ্য একেন’ ছবির জন্য কলকাতায় আসেন তিনি। আসন্ন কলকাতা বইমেলায় তাঁর একটি নতুন বই প্রকাশেরও কথা রয়েছে। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারের বহুতল আবাসন ‘উদিতা’ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সেই সময় ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন বলে খবর। বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর মৃতু্যতে সাহিত্য জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে পরিচারিকা এসে ফ্ল্যাটের দরজার কড়া নাড়ে। ভিতর থেকে কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন পরিচারিকা। ঘটনাস্থলে লেখকের এর আত্মীয় পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সকাল ১০টা নাগাদ দরজা ভেঙে লেখকের নিথর দেহ উদ্ধার করে। শোওয়ার ঘরের বাথরুমের সামনে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় লেখককে।
১৯৬৭ সাল থেকে আমেরিকায় থাকেন লেখক সুজন দাশগুপ্ত। নিউ জার্সির বসিন্দা তিনি। সেখানে বসেই সৃষ্টি করেছেন একেন চরিত্রের। ওটিটি এবং বড়পর্দার সুবাদে প্রচুর ভালোবাসা কুড়িয়েছেন দর্শকের। তাঁর স্ত্রীও সঙ্গে এসেছেন কলকাতায়। তবে তিনি মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতায় ছুটে আসেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল লেখকের। তাঁদের মেয়ে রয়েছেন আমেরিকায়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে সুগার ও প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন সুজন দাশগুপ্ত।
বইতন্ত্র ডেস্ক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন