গত ১৮ জানুয়ারি টুইটারে বাগদানের ঘোষণা করেছিলেন আমিশ। দু' পৃষ্ঠার একটি খোলা চিঠিতে তিনি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন।
ফের সাতপাকে বাঁধা পড়লেন শিবা ট্রিলজি খ্যাত লেখক আমিশ ত্রিপাঠি। লেখক এই বছরের জানুয়ারিতে শিবানীর সঙ্গে তাঁর বাগদান ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) লেখক নিজেই টুইটারে তাঁর বিয়ের খবর তাঁর ভক্তদের জন্য শেয়ার করেছেন।
‘দ্য ইমমর্টালস অফ মেলুহা’র লেখক নিজের টুইটার পোস্টে লিখেছেন, “একটি ব্যক্তিগত ঘোষণা: জীবনে একটি মুহূর্ত আসে যখন এর সৌন্দর্য তার সরলতায় থাকে। এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, আপনি যে বিস্ময়কর মহিলার সঙ্গে মুহূর্তটি ভাগ করেন। গতকাল লন্ডনে একটি সাধারণ রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠানে, ভগবান শিব এবং আমাদের পিতামাতার আশীর্বাদে এবং আমাদের নিজ নিজ সন্তান, ভাইবোন এবং ভাইবোনদের ভালবাসায়, শিবানী এবং আমি গাঁটছড়া বেঁধেছি। আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ, আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য।”
গত ১৮ জানুয়ারি টুইটারে বাগদানের ঘোষণা করেছিলেন আমিশ। দু' পৃষ্ঠার একটি খোলা চিঠিতে তিনি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, “ভগবান শিবের আশীর্বাদ সবসময় আমার সঙ্গে আছে। সেই কারণেই হয়ত পেশাগত জীবনে এতটা উন্নতি করতে পেরেছি। আমি যার যোগ্য নই, সেটাও পেয়েছি জীবনে। তবে গত সাত-আট বছর ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। পরিবারে একজনের মৃত্যু হলেই মানুষ ভেঙে পড়ে। আমি তো অনেককে হারালাম। একের পর এক কাছের মানুষ চলে গিয়েছেন। একসময় আর সহ্য হচ্ছিল না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। ভগবান শিবকে অভিযোগ জানাতাম। জীবন কেন সহজ নয়? ওই প্রশ্ন করতাম।”
সেই কঠিন সময় কাটানোর পর লেখক অামিশের জীবন আবার আলোকিত হয় ভালোবাসার ছোঁয়ায়। শিবানী নামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ফের প্রেমে পড়েন। আমিশ বলেন, “মানুষ ভালোটাকে ততদিন ভালো বলতে পারে না, যতদিন তাঁর জীবন দুঃখে ভরে উঠছে। ওই মুহূর্তে সে উপলব্ধি করে, কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। আমি যন্ত্রণাময় অধ্যায় সম্পূর্ণ করেছি। ভালোকে ভালো বলতে আর দ্বিধা হয় না।”
আমিশ সেই চিঠিতে আরও লেখেন, “আমি জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছি। এত ভালো সময় যে আসতে পারে, সেটা সত্যিই ভাবিনি। আপনারা সকলেই জানেন যে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। অনেকদিন আমি সিঙ্গল ছিলাম। তবে সম্প্রতি লন্ডনে শিবানীর সঙ্গে দেখা হয়। পরস্পরের প্রেমে পড়ি আমরা। এবার আমরা আংটি বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন