সীমানা দ‌্য এজ : চিকিৎসকরাই বানালেন মনোরোগ নিয়ে সিনেমা

চলতি মে মাসের শুরুতে সেই শর্টফিল্ম ‘সীমানা দ‌্য এজ’-এর ট্রেলার মুক্তি পেল। সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা, চিকিৎসক সংগঠন ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স’-এর ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে এটি দেখা যাচ্ছে।

সীমানা দ‌্য এজ : চিকিৎসকরাই বানালেন মনোরোগ নিয়ে সিনেমা

মনোরোগ নিয়ে বহুবার বহু সিনেমা হয়েছে। এবার খোদ চিকিৎসকরাই বানালেন মনরোগের চিকিৎসা নিয়ে একটি সিনেমা। আজকের দিনে সারা দুনিয়ায় মানসিক সমস্যা প্রায় মহামারির আকার নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এমন সমস্যার শিকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে এটাও ঠিক যে চিকিৎসকরা নিজেরাও কখনও কখনও একই সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন, কারণ তাঁরাও মানুষ।

আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো চিকিৎসকরাও অনেকে ভেঙে পড়েন, জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চান, কেউ বা বেছে নেন আত্মহননের মতো চরম পথ। অন্যের রোগমুক্তির নিদান দিতে গিয়ে কখনও বা নিজেই জড়িয়ে যান সেই অসুখের নাগ-পাশে। এ সবের কথাই উঠে এসেছে সেলুলয়েডে। শর্টফিল্মটির নাম ‘সীমানা দ্য এজ’– যা আদতে চিকিৎসকদের অব‌্যক্ত কথামালা। চিকিৎসকদের মনের গহনে লুকিয়ে থাকা অনুভূতির জীবন্ত দলিলও বটে এই স্বল্প দৈর্ঘে‌্যর ছবিটি। একেবারে খাদের কিনারা থেকে প্রত্যাবর্তনের কাহিনিও।

চলতি মে মাসের শুরুতে সেই শর্টফিল্ম ‘সীমানা দ‌্য এজ’-এর ট্রেলার মুক্তি পেল। সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা, চিকিৎসক সংগঠন ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স’-এর ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে এটি দেখা যাচ্ছে। অভিনয় থেকে শুরু করে সঙ্গীত পরিচালনা, সম্পাদনা, গল্প, চিত্রনাট্য, পরিচালনা, প্রযোজনা— সবের নেপথ্যেই রয়েছেন কলকাতার প্রখ‌্যাত চিকিৎসকরা। এপ্রিলে ছবিটি মুক্তি পাবে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।

ছবির পরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দিনের পর দিন অনেক ছাত্রছাত্রী, উঠতি মডেল, অভিনেতা এবং নানা পেশার লোকজনের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রচুর ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়াও। এর কারণ হল অবসাদ, যা জাঁকিয়ে বসেছে আধুনিক যান্ত্রিক জীবনযাত্রার কারণে। তাই আমরা ইতিবাচক বার্তা দিতে চেয়েছি।”

স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি পরিবেশন করেছেন ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স’-এর যুগ্ম সম্পাদক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুই ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ অভীক ঘোষ। অভীকবাবুর কথায়, “চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ক নিয়ে আমরা গত বছরও একটি শর্টফিল্ম করেছিলাম। এবার চিকিৎসকদের মানসিক টানাপড়েন নিয়েও ছবি করলাম। এই সমস্যাগুলো চিকিৎসকরাই সবচেয়ে ভাল বোঝেন। ফলে সকলের কাজও হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীল।“ অনির্বাণবাবু বলেন, “ছবিটির বিষয়ভাবনা মূলত মানসিক সমস্যাকে লক্ষ্য করেই এগিয়েছে। ছবিটির নেপথ্যে রয়েছেন অন্তত ৪০ জন চিকিৎসক।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন