ভূতের গল্প রামু তখন নাকে নাকে জবাব দিল, "আঁমি সঁরলা। দূঁরে মাঠের মঁধ্যে এক বঁট গাছে আমি থাঁকতাম। রাঁমু গিয়ে গাঁছের তলায় বসেছিল কেঁন?"
রামুর স্ত্রীর কঠিন অসুখ। অনেক ডাক্তার দেখিয়ে কিছু লাভ হয়নি। একদিন এক বৈদ্য রামুকে বলল, "আপনার স্ত্রীকে রোজ ধান খেত থেকে কাঁকড়া এনে রান্না করে খাওয়ান। তাহলে আপনার স্ত্রী সুস্থ হয়ে যাবে। "
সেই কথা মতন রামু কাঁকড়া ধরতে বেরিয়ে পড়ে। শীতকাল। ধান কাটার কাজ শেষ হয়ে গেছে। তাই শুকনো জমিতে কাঁকড়া ধরতে তাকে অনেক দূর যেতে হয়। একদিন কাঁকড়া ধরে বাড়ি ফিরে এসে রামু নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তিন চার দিন হয়ে গেল। রামু কিছু খায় না। সবাই বলল, "রামুকে বৈদ্য দেখাও।" বৈদ্য এসে ফিরে গেল। কী অসুখ বুঝতে পারল না।
তাই দেখে প্রতিবেশীরা ঠিক করল মন্ত্রতন্ত্র জানা কাউকে এনে রামুর চিকিৎসা করাবে। একজন বলল, "পাশের গ্রামে এক ভালো ওঝা আছে যে মন্ত্রতন্ত্র জানে।"
লেখক - পার্থ প্রতিম দাস
রামুর স্ত্রীর কঠিন অসুখ। অনেক ডাক্তার দেখিয়ে কিছু লাভ হয়নি। একদিন এক বৈদ্য রামুকে বলল, "আপনার স্ত্রীকে রোজ ধান খেত থেকে কাঁকড়া এনে রান্না করে খাওয়ান। তাহলে আপনার স্ত্রী সুস্থ হয়ে যাবে। "
সেই কথা মতন রামু কাঁকড়া ধরতে বেরিয়ে পড়ে। শীতকাল। ধান কাটার কাজ শেষ হয়ে গেছে। তাই শুকনো জমিতে কাঁকড়া ধরতে তাকে অনেক দূর যেতে হয়। একদিন কাঁকড়া ধরে বাড়ি ফিরে এসে রামু নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তিন চার দিন হয়ে গেল। রামু কিছু খায় না। সবাই বলল, "রামুকে বৈদ্য দেখাও।" বৈদ্য এসে ফিরে গেল। কী অসুখ বুঝতে পারল না।
তাই দেখে প্রতিবেশীরা ঠিক করল মন্ত্রতন্ত্র জানা কাউকে এনে রামুর চিকিৎসা করাবে। একজন বলল, "পাশের গ্রামে এক ভালো ওঝা আছে যে মন্ত্রতন্ত্র জানে।"
পরদিন প্রতিবেশীরা ওই ওঝাকে ডেকে আনল। ওঝা খানিকক্ষন চুপ করে দেখল। তারপর কয়েকটি মন্ত্র উচ্চারণ করে রামুকে জিজ্ঞাসা করল, "তুই কে?"
রামু তখন নাকে নাকে জবাব দিল, "আঁমি সঁরলা। দূঁরে মাঠের মঁধ্যে এক বঁট গাছে আমি থাঁকতাম। রাঁমু গিয়ে গাঁছের তলায় বসেছিল কেঁন?"
এই কথা শুনে সবাই ভয়ে আঁতকে ওঠে। তখন ওঝা বলল, "রামুকে ছেড়ে দে। ওর কোনও দোষ নাই। "
রামু তখন লাল লাল চোখ পাকিয়ে আবার নাকে নাকে বলল, "আঁমাকে এঁকটা মেয়েঁ দে। তবেঁই রামুকে ছাড়বোঁ।"
ওঝা তখন ধমক দিয়ে উঠল। বলল, "তুই কিছুই পাবি না। তুই যদি ছেড়ে না যাস তাহলে তোকে বোতলে বন্দী করে রাখবো।"
ওঝার কথা শুনে পেত্নী ভয় পেয়ে যায়। পেত্নী সরলা নাকে নাকে বলল, "ঠিঁক আছে। আমিঁ ছেড়েঁ যাঁচ্ছি।"
এই বলে পেত্নী উঠানের এক প্রকাণ্ড আম ডালা কড়কড় করে ভেঙে দিয়ে ঝড় হয়ে ছুটে চলল তার আস্থানা বট গাছের দিকে। পেছনে পেছনে ওঝা ও গ্রামের কিছু ছেলে ছুটে চলল। ঝড়টা যেই বট গাছের তলায় গিয়ে থামলো, অমনি ওঝা এক মন্ত্রপূত লোহার কিল বট গাছের প্রকান্ড কাণ্ডে পুঁতে দিল।
তারপর থেকে এমন ভৌতিক ঘটনা গ্রামের লোক আর কোনওদিন দেখেনি।
রামু তখন নাকে নাকে জবাব দিল, "আঁমি সঁরলা। দূঁরে মাঠের মঁধ্যে এক বঁট গাছে আমি থাঁকতাম। রাঁমু গিয়ে গাঁছের তলায় বসেছিল কেঁন?"
এই কথা শুনে সবাই ভয়ে আঁতকে ওঠে। তখন ওঝা বলল, "রামুকে ছেড়ে দে। ওর কোনও দোষ নাই। "
রামু তখন লাল লাল চোখ পাকিয়ে আবার নাকে নাকে বলল, "আঁমাকে এঁকটা মেয়েঁ দে। তবেঁই রামুকে ছাড়বোঁ।"
ওঝা তখন ধমক দিয়ে উঠল। বলল, "তুই কিছুই পাবি না। তুই যদি ছেড়ে না যাস তাহলে তোকে বোতলে বন্দী করে রাখবো।"
ওঝার কথা শুনে পেত্নী ভয় পেয়ে যায়। পেত্নী সরলা নাকে নাকে বলল, "ঠিঁক আছে। আমিঁ ছেড়েঁ যাঁচ্ছি।"
এই বলে পেত্নী উঠানের এক প্রকাণ্ড আম ডালা কড়কড় করে ভেঙে দিয়ে ঝড় হয়ে ছুটে চলল তার আস্থানা বট গাছের দিকে। পেছনে পেছনে ওঝা ও গ্রামের কিছু ছেলে ছুটে চলল। ঝড়টা যেই বট গাছের তলায় গিয়ে থামলো, অমনি ওঝা এক মন্ত্রপূত লোহার কিল বট গাছের প্রকান্ড কাণ্ডে পুঁতে দিল।
তারপর থেকে এমন ভৌতিক ঘটনা গ্রামের লোক আর কোনওদিন দেখেনি।
এম এ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়
বি এড পাশ
আকন্দা, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন