ভূতের গল্প এবার ভুতু বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ সেজে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। সকল জন্তুদের গর্জনে চারিদিক কেঁপে উঠল, কিন্তু খুকু কাঁপল না।
গরমে ঘরের ভিতরে আর ভালো লাগছে না। তাই খুকু বারান্দায় চুপ করে বসে রাত জাগা পাখির গান শুনছে। হঠাৎ কোত্থেকে এক ছোট্ট ভুতু খুকুর সামনে উপস্থিত। কত রকম অঙ্গভঙ্গি তাঁর! কখনও ভয়ঙ্কর রাক্ষস, কখনও মামদো, শাঁকচুন্নি। নানাভাবে চেষ্টা করেই চলেছে খুকুকে ভয় দেখানোর। তবু খুকুর মুখে এতটুকু ভয়ের রেখা নেই। মনে মনে ভাবে এ কেমন শিশু, যে ভূতকে ভয় পায় না! উল্টে খুকু এইসব তামাশা দেখে ভীষণ খুশি। খিলখিলিয়ে হাসি তার মুখে। ছোট্ট ভুতু ভাবে এতো ভারী অদ্ভুত,আমাকে ভয় পাচ্ছে না। নাঃ... এভাবে হবে না।
এবার ভুতু বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ সেজে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। সকল জন্তুদের গর্জনে চারিদিক কেঁপে উঠল, কিন্তু ছোট্ট শিশু কাঁপল না। সে তো ভীষণ খুশি, জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছে, আবার বলে, “আরও দেখাও আরো দেখাও।”এবার ভুতু পেল লজ্জা। ভূত হয়ে এই একরত্তি শিশুটিকে ভয় দেখাতে পারল না যে তার কারণটা কি? তার উত্তর খুঁজতে ভুতু খুকুর সামনে ঝুপ করে এসে বসে, জিজ্ঞাসা করল, “খুঁকুঁ তুঁমিঁ আঁমাঁয়ঁ ভঁয় পাঁওঁ নাঁ?”
খুকু একগাল হেসে বলে, “ওমা তোমায় আবার ভয় পাবো কেন?”
ভুতু বলে, “কেঁনঁ? তুঁমিঁ কিঁ ভুঁতঁ-প্রেঁতঁ,দাঁনঁবঁ- রাঁক্ষঁসঁ, বাঁঘঁ-সিঁংহঁ, কোঁনঁ কিঁছুঁইঁ ভঁয়ঁ পাঁওঁ নাঁ? তাঁদেঁরঁ আঁকাঁশঁচুঁম্বীঁ গঁর্জঁনঁ কোঁনঁ কিঁছুঁইঁ তোঁমাঁরঁ বুঁকেঁরঁ ভেঁতঁরঁটাঁ নাঁড়াঁ দেঁয়ঁ নাঁ, কাঁপেঁ নাঁ?”
খুকু আবার হেসে বলে, “নাগো না, আমি কিছুই ভয় পাই না। এসব জাদু আমি টিভিতে, স্কুলে কত দেখেছি। ফ্যান্সি ড্রেস, গো অ্যাজ ইউ লাইকে নিজেই কত সেজেছি। তাছাড়া ওরা যে অত ভয়ঙ্কর নয়।”
একটু থেমে খুক আবার বলে, “সব থেকে বড় কথা কী জানো? আমার মা বলেন, এই ভূত-প্রেত, জন্তু-জানোয়ারের থেকেও ভয়ঙ্কর প্রাণী হল মানুষ। মানুষের থেকে ভয়ঙ্কর, হিংস্র,নিষ্ঠুর, ইতর প্রাণী জগতে আর একটাও খুঁজে পাবে না। তাই আমি মানুষ হয়েও মানুষকেই বেশি ভয় পাই, তোমাকে নয়।”
খুকুর কথা শুনে ভুতু ক্ষণিকের জন্য নির্বাক হয়ে বসে রইলো, তারপর নিজের উত্তর গুটিয়ে ঝুপ করে উবে গেল নিজের জায়গায়। খুকু আবার পাখির গান শুনতে থাকল।
অনতিদূরে হাসির শব্দ খুকুর মন কাড়লো। গুটি পাঁচেক মানুষ টলোমলো দেহে ঘুরে বেড়াচ্ছে,হাতে তাদের রঙিন বোতল আর এক চিমটে আগুন। এবার খুকু একটু ভয় পেল এবং ঘরের ভেতরে ঢুকে দোর বন্ধ করল।
খুকু আবার হেসে বলে, “নাগো না, আমি কিছুই ভয় পাই না। এসব জাদু আমি টিভিতে, স্কুলে কত দেখেছি। ফ্যান্সি ড্রেস, গো অ্যাজ ইউ লাইকে নিজেই কত সেজেছি। তাছাড়া ওরা যে অত ভয়ঙ্কর নয়।”
একটু থেমে খুক আবার বলে, “সব থেকে বড় কথা কী জানো? আমার মা বলেন, এই ভূত-প্রেত, জন্তু-জানোয়ারের থেকেও ভয়ঙ্কর প্রাণী হল মানুষ। মানুষের থেকে ভয়ঙ্কর, হিংস্র,নিষ্ঠুর, ইতর প্রাণী জগতে আর একটাও খুঁজে পাবে না। তাই আমি মানুষ হয়েও মানুষকেই বেশি ভয় পাই, তোমাকে নয়।”
খুকুর কথা শুনে ভুতু ক্ষণিকের জন্য নির্বাক হয়ে বসে রইলো, তারপর নিজের উত্তর গুটিয়ে ঝুপ করে উবে গেল নিজের জায়গায়। খুকু আবার পাখির গান শুনতে থাকল।
অনতিদূরে হাসির শব্দ খুকুর মন কাড়লো। গুটি পাঁচেক মানুষ টলোমলো দেহে ঘুরে বেড়াচ্ছে,হাতে তাদের রঙিন বোতল আর এক চিমটে আগুন। এবার খুকু একটু ভয় পেল এবং ঘরের ভেতরে ঢুকে দোর বন্ধ করল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন