ভূতের গল্প কালীপুজোর আগের চতুর্দশীতে রুপমের জন্ম। এই নিয়ে কম খোঁচা তাকে খেতে হয়নি স্কুলে। "ওইসময় তো ভূতের জন্ম হয় রে.." হাহাহিহি লেগেই থাকত।

"আস্ত একটা ফুলগাছ এনে দিলেও তোমার মন ভরবে না। ফুলের মধ্যে ওরকম মাথা ডুবিয়ে গন্ধ শুঁকতে বাবার জন্মে কাউকে দেখিনি..!"
কোনও সাড়া নেই। রুপমের কথায় পাত্তা একটু কমই দেয় রত্না। তবে ফুল পেলে আর কথা নেই। সেটাকে এমন জাপটে ধরবে! রুপম ইউনিভার্সিটির চাকরিটা সদ্য পেয়েছে। যেমন তেমন জায়গা নয়, একেবারে বিশ্বভারতী। সেখানেই থাকার ব্যবস্থা। শুনেটুনে রত্না বলল কদিন তার ওখানে গিয়ে থাকবে। তার এবার যাদবপুরের ফাইনাল। এমনিতে হস্টেলে একটা বড় ঘর নিয়ে থাকে। একাই। কখনও সখন উধাও হয়ে যায়। তার বন্ধুরা প্রথম প্রথম সন্দেহ করলেও ওইরকমই স্বাভাবিক ধরে নিয়ে আর কিছু বলে না। রত্নাও অত গায় মাখে না। সে শুধু বড় ঘর দেখে নিয়েছিল ফুল দিয়ে সাজাবে বলে।
মাঝেমাঝেই রাত বাড়লে তার ঘর থেকে ফুলের গন্ধ পেত পাড়ার লোকে। ঘর অন্ধকার করে রাখত, ফলে দেখা যেত না কী ফুল। কিন্তু কিছুতেই কেউ মেলাতে পারত না চেনা গন্ধের সঙ্গে।
একবার তো রুপমকে বলে বসল তার ছাতিম ফুল চাই। শীতকাল। পেতে অসুবিধাও নেই। কিন্তু তা বলে ছাতিম ফুল! অল্প কিছু জোগাড় করে দিয়েছিল রুপম। তাতেই গন্ধ শুঁকতে গিয়ে চুলেমুখে মাখামাখি। তেমনই এক শীতের দুপুরে রত্না বলল, "কদিন ইউনিভার্সিটিতে তোমার সঙ্গে থেকে আসি?
"ওইভাবে গিয়ে থাকা যায়? ইউনিভার্সিটি কোয়াটার। আমিই নতুন। তার মধ্যে কে কতটা রক্ষণশীল কে জানে! তোমার এখনই ওখানে ওভাবে যাওয়ার দরকার নেই।
" তাহলে! গোটা শীতটা তোমায় দেখতে পাব না? একটা ফুলও দেবে না? তার মধ্যে মাঝেমাঝেই যে কোথায় উধাও হয়ে যাও জানি না। খালি বলো লাইব্রেরি গেছিলাম। একটা যোগাযোগ পর্যন্ত রাখ না সেই কদিন
রুপম কথা বাড়ায় না। ঝগড়ায় তার শান্তি পছন্দ। তবে বলতে ইচ্ছে করে যে, তার সঙ্গে আলাপের আগে রত্নাও তো উধাও হয়ে যেত! এখনও যায়, তবে খোঁজ দিয়ে যায় যদিও। একটা জায়গার নাম দিয়ে বলে যায় নদীর ধারে যাচ্ছে। কদিন বাদেই ফিরবে। কী যে অস্বস্তি
সবই ঠিক আছে। কিন্তু এই দুজনের উধাও হয়ে যাওয়া ব্যাপারটাই দুজনের কাছে কেমন অচেনা। কমাস হল দুজনের আলাপ। এর মধ্যেই এটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে কেমন পাপবিদ্ধ মনে হবে ভেবে আর কেউই সাহস করে না। আবার অস্বস্তিটাও যায় না। বন্ধুরা বলে, তোরা কি ভীষ্মের বাবা-মা? একে অপরের অন্তর্ধান জানতেও চাস না। এ আবার কী? এতে তো বিশ্বাসটাই তৈরি হবে না দুজনের মধ্যে
কথাটা ঠিক। তবু নিজের গাফিলতি আছে ভেবেই আর রত্নাকেও কিছু বলতে পারে না রুপম। কালীপুজোর আগের চতুর্দশীতে রুপমের জন্ম। এই নিয়ে কম খোঁচা তাকে খেতে হয়নি স্কুলে। "ওইসময় তো ভূতের জন্ম হয় রে.." হাহাহিহি লেগেই থাকত। রত্নাকেও জন্মদিনটা বলার পর হিহি করে হেসে ফেলেছিল রত্না। খুব রেগে যায় রুপম। বেশ কিছুদিন তারপর টিকি পাওয়া যায়নি তার। তবে রেগে যাওয়ার জন্য না, ওইসময়টাই রুপম লাইব্রেরিতে কাটায়।
রুপম এমন লাইব্রেরি প্রেমিক শুনেই তার প্রেমে পড়েছিল রত্না। সে কথা শুনে আবার তার বন্ধুরা কিঞ্চিৎ হাসাহাসি করে। কিন্তু তার মধ্যে একজন বলেছিল, "ওই সাহাপাড়ার লাইব্রেরি? ওখানে তো শুনেছি ভূত আছে। ওখানে যায় কেন তোর প্রেমিক? লাইব্রেরিয়ানটা শুনেছিলাম বই চাপা পড়ে মারা গেছিল। তারপর নাকি ওখানে যারাই যায় তাদের এক হাঁচি রোগ ধরে। ওই ভূত হাঁচি হয়ে এর তার শরীরে ঢোকে। তোর রুপম হাঁচে নাকি?
তাই তো! ছেলেমানুষী কথা হলেও এটা তো খেয়াল করেনি রত্না। আগেরবার যখন নিরুদ্দেশ থেকে ফিরে এল, সেবার রুপমের নাকি ধুম জ্বর। তার মেসের ঘরে গিয়ে দেখে জ্বরে কান কুলোর মতো হয়ে গেছে। আর নাকটা লাল লাউয়ের খোলার মতো! ওমা রত্না সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই সব গায়েব! আশ্চর্য!
"কী হয়েছিল বলো তো?”
"অ্যালার্জি। লাইব্রেরি থেকে ফেরার পরপরই। সেই থেকে জানলা দরজা বন্ধ ছিল ঘরের। তুমি যেই জানলাটা খুললে রোদের আলোয় সব ঠিক।
খিলখিলিয়ে হেসেছিল দুজনে। ফেরার সময় অবশ্য কজনের ফিসফিস শুনে চমকে যায় রত্না। পাশের ঘরের তার মেটরা বলাবলি করছিল রাত বাড়লেই নাকি ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ পায়। রুপম শেষে কাকে বলে "একদম নাক কান ধরে ঝুলবি না, ছাড়, ছাড় বলছি.." দুদ্দাড় আওয়াজের পরই সব চুপ। পাত্তা দেয়নি রত্না। এখন বান্ধবীর কথায় কেমন একটা সন্দেহ হচ্ছে। ওই জন্যই কি ফুল আনতে বললে নাক থেকে দূরে সরিয়ে রাখত! নাকটা লাল হয়ে থাকত কিন্তু।
ইউনিভার্সিটি জয়েন করার আগে খোলাখুলি কথাটা রুপম বলা দরকার। রত্না রুপমের মেসের দিকে পা বাড়ায়। ঠনঠনিয়ার পাশ দিয়ে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের শেষ মাথায় মেসটা। এই দুপুরে সেখানেই থাকার কথা। ফোনটাও ধরছে না। রাগে গজরাতে গজরাতেই রত্না রিক্সা ধরে। মেসের নিচে নেমে রিক্সার পয়সা মেটাতে গিয়ে ওপরে একবার তাকিয়েছিল রত্না। জানলা খোলা। কে যেন একবার টুক করে দেখে গেল মনে হল! বন্ধুরা আছে নাকি?
থাক, রত্না যাবেই। খোলসা করা দরকার। দোতলায় রুপমের ঘর। দরজা খোলা। বিছানা এলোমেলো। বাথরুমের কল খোলা। কিন্তু জল তো পড়ছে না। সো সো শব্দ শুনে গিয়ে দেখে হাওয়া ঢুকে ওই শব্দ। কিন্তু রুপম কই?
ডাকাডাকি শুনে পাশের ঘর থেকে এক মেট বেরিয়ে এসে বলল, এই তো ছিল। আরও কেউ ছিল মনে হয়। দেখলাম এক পাঁজা বই হাতে দুজনে ছাদে গেল। রোদ খাওয়াতে গেল মনে হয়।
রত্নাও ছাদে দৌড়য়। সঙ্গে পাশের ঘরের ছেলেটাও। আরও দুটো তলা উঠে ছাদ। ওমা, দরজা তো বন্ধ! সব ঘরেই তালা। এর মানে? কী একটা সন্দেহ হতে চাবি অনিয়ে দরজা খুলল রত্না..
ছাদময় বই ছড়ানো। কতগুলো কালো কালো অক্ষরের মতো আরও কী ছড়ানো! অক্ষরের মতো কেন, অক্ষরই তো! এর মানে? রুপম কই? আর ছাদে তালা। কিন্তু বইগুলো বাইরে কী করে? অক্ষরগুলো কেমন থেমে গেল না? একী?
হুস করে একটা হওয়া দিয়েছিল। সব কটা পাতা কেমন ধুলো হয়ে উড়ে গেল। একটা পাতায় লেখা রুপম..! আর ম-টা! আসতে আসতে মুছে যাচ্ছে কেন!!

"আস্ত একটা ফুলগাছ এনে দিলেও তোমার মন ভরবে না। ফুলের মধ্যে ওরকম মাথা ডুবিয়ে গন্ধ শুঁকতে বাবার জন্মে কাউকে দেখিনি..!"
কোনও সাড়া নেই। রুপমের কথায় পাত্তা একটু কমই দেয় রত্না। তবে ফুল পেলে আর কথা নেই। সেটাকে এমন জাপটে ধরবে! রুপম ইউনিভার্সিটির চাকরিটা সদ্য পেয়েছে। যেমন তেমন জায়গা নয়, একেবারে বিশ্বভারতী। সেখানেই থাকার ব্যবস্থা। শুনেটুনে রত্না বলল কদিন তার ওখানে গিয়ে থাকবে। তার এবার যাদবপুরের ফাইনাল। এমনিতে হস্টেলে একটা বড় ঘর নিয়ে থাকে। একাই। কখনও সখন উধাও হয়ে যায়। তার বন্ধুরা প্রথম প্রথম সন্দেহ করলেও ওইরকমই স্বাভাবিক ধরে নিয়ে আর কিছু বলে না। রত্নাও অত গায় মাখে না। সে শুধু বড় ঘর দেখে নিয়েছিল ফুল দিয়ে সাজাবে বলে।
মাঝেমাঝেই রাত বাড়লে তার ঘর থেকে ফুলের গন্ধ পেত পাড়ার লোকে। ঘর অন্ধকার করে রাখত, ফলে দেখা যেত না কী ফুল। কিন্তু কিছুতেই কেউ মেলাতে পারত না চেনা গন্ধের সঙ্গে।
একবার তো রুপমকে বলে বসল তার ছাতিম ফুল চাই। শীতকাল। পেতে অসুবিধাও নেই। কিন্তু তা বলে ছাতিম ফুল! অল্প কিছু জোগাড় করে দিয়েছিল রুপম। তাতেই গন্ধ শুঁকতে গিয়ে চুলেমুখে মাখামাখি। তেমনই এক শীতের দুপুরে রত্না বলল, "কদিন ইউনিভার্সিটিতে তোমার সঙ্গে থেকে আসি?
"ওইভাবে গিয়ে থাকা যায়? ইউনিভার্সিটি কোয়াটার। আমিই নতুন। তার মধ্যে কে কতটা রক্ষণশীল কে জানে! তোমার এখনই ওখানে ওভাবে যাওয়ার দরকার নেই।
" তাহলে! গোটা শীতটা তোমায় দেখতে পাব না? একটা ফুলও দেবে না? তার মধ্যে মাঝেমাঝেই যে কোথায় উধাও হয়ে যাও জানি না। খালি বলো লাইব্রেরি গেছিলাম। একটা যোগাযোগ পর্যন্ত রাখ না সেই কদিন
রুপম কথা বাড়ায় না। ঝগড়ায় তার শান্তি পছন্দ। তবে বলতে ইচ্ছে করে যে, তার সঙ্গে আলাপের আগে রত্নাও তো উধাও হয়ে যেত! এখনও যায়, তবে খোঁজ দিয়ে যায় যদিও। একটা জায়গার নাম দিয়ে বলে যায় নদীর ধারে যাচ্ছে। কদিন বাদেই ফিরবে। কী যে অস্বস্তি
সবই ঠিক আছে। কিন্তু এই দুজনের উধাও হয়ে যাওয়া ব্যাপারটাই দুজনের কাছে কেমন অচেনা। কমাস হল দুজনের আলাপ। এর মধ্যেই এটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে কেমন পাপবিদ্ধ মনে হবে ভেবে আর কেউই সাহস করে না। আবার অস্বস্তিটাও যায় না। বন্ধুরা বলে, তোরা কি ভীষ্মের বাবা-মা? একে অপরের অন্তর্ধান জানতেও চাস না। এ আবার কী? এতে তো বিশ্বাসটাই তৈরি হবে না দুজনের মধ্যে
কথাটা ঠিক। তবু নিজের গাফিলতি আছে ভেবেই আর রত্নাকেও কিছু বলতে পারে না রুপম। কালীপুজোর আগের চতুর্দশীতে রুপমের জন্ম। এই নিয়ে কম খোঁচা তাকে খেতে হয়নি স্কুলে। "ওইসময় তো ভূতের জন্ম হয় রে.." হাহাহিহি লেগেই থাকত। রত্নাকেও জন্মদিনটা বলার পর হিহি করে হেসে ফেলেছিল রত্না। খুব রেগে যায় রুপম। বেশ কিছুদিন তারপর টিকি পাওয়া যায়নি তার। তবে রেগে যাওয়ার জন্য না, ওইসময়টাই রুপম লাইব্রেরিতে কাটায়।
রুপম এমন লাইব্রেরি প্রেমিক শুনেই তার প্রেমে পড়েছিল রত্না। সে কথা শুনে আবার তার বন্ধুরা কিঞ্চিৎ হাসাহাসি করে। কিন্তু তার মধ্যে একজন বলেছিল, "ওই সাহাপাড়ার লাইব্রেরি? ওখানে তো শুনেছি ভূত আছে। ওখানে যায় কেন তোর প্রেমিক? লাইব্রেরিয়ানটা শুনেছিলাম বই চাপা পড়ে মারা গেছিল। তারপর নাকি ওখানে যারাই যায় তাদের এক হাঁচি রোগ ধরে। ওই ভূত হাঁচি হয়ে এর তার শরীরে ঢোকে। তোর রুপম হাঁচে নাকি?
তাই তো! ছেলেমানুষী কথা হলেও এটা তো খেয়াল করেনি রত্না। আগেরবার যখন নিরুদ্দেশ থেকে ফিরে এল, সেবার রুপমের নাকি ধুম জ্বর। তার মেসের ঘরে গিয়ে দেখে জ্বরে কান কুলোর মতো হয়ে গেছে। আর নাকটা লাল লাউয়ের খোলার মতো! ওমা রত্না সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই সব গায়েব! আশ্চর্য!
"কী হয়েছিল বলো তো?”
"অ্যালার্জি। লাইব্রেরি থেকে ফেরার পরপরই। সেই থেকে জানলা দরজা বন্ধ ছিল ঘরের। তুমি যেই জানলাটা খুললে রোদের আলোয় সব ঠিক।
খিলখিলিয়ে হেসেছিল দুজনে। ফেরার সময় অবশ্য কজনের ফিসফিস শুনে চমকে যায় রত্না। পাশের ঘরের তার মেটরা বলাবলি করছিল রাত বাড়লেই নাকি ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ পায়। রুপম শেষে কাকে বলে "একদম নাক কান ধরে ঝুলবি না, ছাড়, ছাড় বলছি.." দুদ্দাড় আওয়াজের পরই সব চুপ। পাত্তা দেয়নি রত্না। এখন বান্ধবীর কথায় কেমন একটা সন্দেহ হচ্ছে। ওই জন্যই কি ফুল আনতে বললে নাক থেকে দূরে সরিয়ে রাখত! নাকটা লাল হয়ে থাকত কিন্তু।
ইউনিভার্সিটি জয়েন করার আগে খোলাখুলি কথাটা রুপম বলা দরকার। রত্না রুপমের মেসের দিকে পা বাড়ায়। ঠনঠনিয়ার পাশ দিয়ে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের শেষ মাথায় মেসটা। এই দুপুরে সেখানেই থাকার কথা। ফোনটাও ধরছে না। রাগে গজরাতে গজরাতেই রত্না রিক্সা ধরে। মেসের নিচে নেমে রিক্সার পয়সা মেটাতে গিয়ে ওপরে একবার তাকিয়েছিল রত্না। জানলা খোলা। কে যেন একবার টুক করে দেখে গেল মনে হল! বন্ধুরা আছে নাকি?
থাক, রত্না যাবেই। খোলসা করা দরকার। দোতলায় রুপমের ঘর। দরজা খোলা। বিছানা এলোমেলো। বাথরুমের কল খোলা। কিন্তু জল তো পড়ছে না। সো সো শব্দ শুনে গিয়ে দেখে হাওয়া ঢুকে ওই শব্দ। কিন্তু রুপম কই?
ডাকাডাকি শুনে পাশের ঘর থেকে এক মেট বেরিয়ে এসে বলল, এই তো ছিল। আরও কেউ ছিল মনে হয়। দেখলাম এক পাঁজা বই হাতে দুজনে ছাদে গেল। রোদ খাওয়াতে গেল মনে হয়।
রত্নাও ছাদে দৌড়য়। সঙ্গে পাশের ঘরের ছেলেটাও। আরও দুটো তলা উঠে ছাদ। ওমা, দরজা তো বন্ধ! সব ঘরেই তালা। এর মানে? কী একটা সন্দেহ হতে চাবি অনিয়ে দরজা খুলল রত্না..
ছাদময় বই ছড়ানো। কতগুলো কালো কালো অক্ষরের মতো আরও কী ছড়ানো! অক্ষরের মতো কেন, অক্ষরই তো! এর মানে? রুপম কই? আর ছাদে তালা। কিন্তু বইগুলো বাইরে কী করে? অক্ষরগুলো কেমন থেমে গেল না? একী?
হুস করে একটা হওয়া দিয়েছিল। সব কটা পাতা কেমন ধুলো হয়ে উড়ে গেল। একটা পাতায় লেখা রুপম..! আর ম-টা! আসতে আসতে মুছে যাচ্ছে কেন!!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন