ভূতের গল্প সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। কাগজপত্র উড়ে কোথায় হাওয়া। তোজো দেখতে পেল, নিতাই ভয়ঙ্কর চেহারায় একটা ঝাড়ু নিয়ে ঘরময় উড়ে বেড়াচ্ছে।
তোজোর সঙ্গে নিতাই ভূতের খুব দোস্তি। নিতাই ভূত ওদের বাড়িতেই থাকে। অনেকদিন ধরেই। নিতাই ভূত হওয়ার আগে ছিল তোজোর দাদুর বিশ্বস্ত গৃহভৃত্য। গ্রাম থেকে দু:সম্পর্কের জেঠিমার হাত ধরে কলকাতা শহরে আসা নিতাইকে তোজোর দাদু বিশ্বনাথবাবু পড়াশোনা শিখিয়েছিলেন। সংসার সমুদ্রে ঝড়-ঝাপটা রুখে দেওয়ার শক্তি ধরত সে। কিন্তু বিশ্বনাথবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেদের রকমসকম ভাল লাগত না তার। একদিন বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে মারাত্মক আঘাত সইতে পারে না নিতাইয়ের শরীর। যমে মানুষে টানাটানির পর মারা যায় সে। কিন্তু বিশুঠাকুরের (এই নামেই সে ডাকত বিশ্বনাথকে) পরিবারকে ছাড়তে পারেনি সে। অরবিন্দনগরের দাশগুপ্ত বাড়ির চিলেকোঠার ঘরেই তার ডেরা। তোজো ছাড়া কাউকে দেখা দেয় না নিতাই।
একদিন গরমের ছুটিতে তোজো নিরালা দুপুরে হোমটাস্কের ফাঁকে মোবাইলে গেম খেলছিল। ঠাম্মি ঘুমোচ্ছে। বাবা-মা অফিসে। আচমকা ওয়াইফাই গন! কিন্তু লোডশেডিং হয়নি তো! ফিসফিস করে কানের কাছে কে বলে গেল, playing games on Mobile!! Do ur homework first. তোজো চারদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। অথচ স্পষ্ট কথাটা শুনল। আচমকা আয়নায় চোখ পড়তেই চমকে উঠল তোজো। আয়নায় ভাসা ভাসা অবয়ব একজনের। সুঠাম চেহারা। এলোমেলো চুল মাথাভর্তি। পরণে ধুতি, খালি গা। তোজোকে ইশারা করল ওয়াইফাইয়ের তারের দিকে। আরে! তারটা কে, কখন ছিঁড়ল? আয়নায় মিচকি হাসি নিতাইয়ের। কাণ্ডটা তারই। নিতাই-তোজো আলাপ সেই প্রথম। তোজোকে এ বাড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক জানায় সে। দুজনের বন্ধুত্ব হয়। তারপর থেকে না বুঝলে তোজোর খাতায় অঙ্ক করে দেয় নিতাই, ইংরেজি বাক্য রচনা বুঝিয়ে দেয়। তোজোকে বাড়িতে পড়াতে আসা সুবিমল স্যর বেশি বকাঝকা করলে তাঁর জুতোজোড়া কিছুক্ষণের জন্য লুকিয়ে রেখে দেরি করিয়ে দেয়। বিনিময়ে তোজো তাকে ঠাম্মির হাতে বানানো নাড়ু, বরফি, ঠাকুরের থালার নকুলদানা, কলা তার অগোচরে গিফ্ট করে। সবই গ্রহণ করে নিতাই।
গত কয়েকদিন ধরে তোজোদের বাড়িতে অশান্তি চলছে। তোজোর কাকারা বাড়িটা প্রমোটিং করে নিজেদের ভাগ বুঝে নিতে চায়। তারা সবাই প্রবাসী, প্রতিষ্ঠিত। নিজেদের বাড়িতে ফিরবে না। স্বামীর তৈরি বাড়িটা গুঁড়িয়ে যাবে, চান না তিনি। এ বাড়ির প্রতিটি ইঁট-বালি-সিমেন্টের কণায় মিশে আছেন বিশ্বনাথবাবু। কিন্তু মেজ, সেজ, ছোট ছেলেরা প্রমোটার ধরে এনেছে। তোজোর বাবা-মা, ঠাম্মির সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছে তাদের। গায়ত্রীদেবী তারপরই অসুস্থ হলেন।
দুশ্চিন্তায় পড়েছে নিতাইও। তোজোর কাছে কেঁদেকেটে বলেছে, 'আমি তাহলে বাড়িছাড়া হব? শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষায় গাছে উঠে বসে থাকতে হবে? গাছে আস্তানা পেতে গেলে তো পাড়ার ভূত অ্যাসোসিয়েশনকে ধরতে হবে। মেম্বারশিপ ফি-ও দিতে হয়। আমার তো কোনও কানেকশনও নেই। সেদিন শম্ভু ভূতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। গলফ ক্লাব মাঠের সীমানা ঘেঁষে ছাতিম গাছে একেকটা ডাল ২ বছরের জন্য দিচ্ছে ৫০ হাজার টাকায়। সেখানেও নাকি কাটমানি খায় অ্যাসোসিয়েশনের মাতব্বররা। জীবদ্দশায় পাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের মাথা ছিল যারা, ভূত সংগঠনেও তারাই ছড়ি ঘোরায়। কী করা যায়, ভাবো তো।'
এসব শুনে তোজোর চক্ষু চড়কগাছ। কী করে বাঁচানো যায় নিতাই ভূতকে? তোজো ভাবল, ঠাম্মিকে নিতাইয়ের কথাটা জানিয়ে দিয়ে থানা-পুলিশ করতে বলবে। কিন্তু তার আগেই আচমকা একদিন ঠাম্মির অবস্থার অবনতি হল। ভর্তি করতে হল নার্সিং হোমে। বাবা-মা-তোজো সবাই ছুটল। পাড়ার রথীনকাকু, সন্ধ্যা কাকিমাও সঙ্গী হল। বাড়ি ফিরেই তোজোরা দেখল, প্রমোটার, কাকারা হাজির। সব নথিপত্র, কন্ট্র্যাক্ট পেপার রেডি। প্রথমে দরকার ঠাম্মির সম্মতি-সই। তারপর বাকিদের। কাকাদের দাবি, ঠাম্মি সুস্থ হলেই তাঁকে দিয়ে সই করাতে হবে। বাবা-মার মুখে স্পষ্ট 'না' শুনল তোজো। 'মা রাজি নন, সই হবে না।', জানিয়ে দেওয়া হল।
তিনতলার হলঘরে সবাই। থমথমে আবহাওয়া। প্রমোটার টাকার অঙ্ক বাড়াচ্ছে। বলছে, ঠিক আছে, আরও একটা ফ্ল্যাট বেশি দেবো। কাকারা সম্মতির সুরে মাথা নাড়ছে। আর তখনই ঘটল ঘটনাটা। আচমকা ঘরের ভিতর একটা দমকা বাতাস ধেয়ে এল কোথা থেকে। সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। কাগজপত্র উড়ে কোথায় হাওয়া। তোজো দেখতে পেল, নিতাই ভয়ঙ্কর চেহারায় একটা ঝাড়ু নিয়ে ঘরময় উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রমোটার দৌড়ে গেল উড়ে যাওয়া কাগজপত্র কব্জা করতে। কিন্তু সে যাবে কোথায়? দড়াম করে দরজাটা হাওয়ার ধাক্কায় তার মুখের ওপর বন্ধ হয়ে গেল। ধাক্কা খেয়ে ধরাশায়ী সে। কাকারা জখম প্রমোটারকে নিয়ে চলে যেতে উদ্যত। তাদের সামনে ধুমকেতুর মতো উদয় হল নিতাই। ঠকঠক করে কাঁপছে তারা। 'ভূ....উ....ত' বলতে বলতে প্রমোটারকে ফেলে সবাই পগার পার। জ্ঞান ফিরে উঠে বসে সে কাকাদের খুঁজছে। 'ই বাড়িতে ভূত আসে, আমি পালাই', বলেই ছুটল সে।
তোজোকে পরে নিতাই জানায়, সে ওই কাগজপত্র পাশের ডোবার পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেছে। সব কুচিকুচি করে সে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
কাকতালীয় ভাবে সেদিনের প্রমোটার বিদায়ের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে নার্সিংহোম থেকে ছুটি পেয়ে ফিরল ঠাম্মি। সদর দরজায় হঠাত্ কে যেন তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করল।
'কে রে তুই?' 'আইজ্ঞা আমি নিতাই। এই বাড়ি বেহাত হইতে দিমু না। তোমার নাতি-নাতনী, তাগো পোলাপান, তাগো পোলা.......আমি রক্ষা করুম এই বাড়ি। তোমার চরণে একটু ঠাঁই দিও আমায়।'
ঠাম্মির মুখে চওড়া হাসি। ' ও, তাইলে ঠাকুরের প্রসাদের থালা থিকা নকুলদানা, মিহিদানায় তুই-ই
ভাগ বসাইতি।'
তোজো নিশিন্ত, নিতাই কোনওদিন হারিয়ে যাবে না।
তোজোর সঙ্গে নিতাই ভূতের খুব দোস্তি। নিতাই ভূত ওদের বাড়িতেই থাকে। অনেকদিন ধরেই। নিতাই ভূত হওয়ার আগে ছিল তোজোর দাদুর বিশ্বস্ত গৃহভৃত্য। গ্রাম থেকে দু:সম্পর্কের জেঠিমার হাত ধরে কলকাতা শহরে আসা নিতাইকে তোজোর দাদু বিশ্বনাথবাবু পড়াশোনা শিখিয়েছিলেন। সংসার সমুদ্রে ঝড়-ঝাপটা রুখে দেওয়ার শক্তি ধরত সে। কিন্তু বিশ্বনাথবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেদের রকমসকম ভাল লাগত না তার। একদিন বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে মারাত্মক আঘাত সইতে পারে না নিতাইয়ের শরীর। যমে মানুষে টানাটানির পর মারা যায় সে। কিন্তু বিশুঠাকুরের (এই নামেই সে ডাকত বিশ্বনাথকে) পরিবারকে ছাড়তে পারেনি সে। অরবিন্দনগরের দাশগুপ্ত বাড়ির চিলেকোঠার ঘরেই তার ডেরা। তোজো ছাড়া কাউকে দেখা দেয় না নিতাই।
একদিন গরমের ছুটিতে তোজো নিরালা দুপুরে হোমটাস্কের ফাঁকে মোবাইলে গেম খেলছিল। ঠাম্মি ঘুমোচ্ছে। বাবা-মা অফিসে। আচমকা ওয়াইফাই গন! কিন্তু লোডশেডিং হয়নি তো! ফিসফিস করে কানের কাছে কে বলে গেল, playing games on Mobile!! Do ur homework first. তোজো চারদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। অথচ স্পষ্ট কথাটা শুনল। আচমকা আয়নায় চোখ পড়তেই চমকে উঠল তোজো। আয়নায় ভাসা ভাসা অবয়ব একজনের। সুঠাম চেহারা। এলোমেলো চুল মাথাভর্তি। পরণে ধুতি, খালি গা। তোজোকে ইশারা করল ওয়াইফাইয়ের তারের দিকে। আরে! তারটা কে, কখন ছিঁড়ল? আয়নায় মিচকি হাসি নিতাইয়ের। কাণ্ডটা তারই। নিতাই-তোজো আলাপ সেই প্রথম। তোজোকে এ বাড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক জানায় সে। দুজনের বন্ধুত্ব হয়। তারপর থেকে না বুঝলে তোজোর খাতায় অঙ্ক করে দেয় নিতাই, ইংরেজি বাক্য রচনা বুঝিয়ে দেয়। তোজোকে বাড়িতে পড়াতে আসা সুবিমল স্যর বেশি বকাঝকা করলে তাঁর জুতোজোড়া কিছুক্ষণের জন্য লুকিয়ে রেখে দেরি করিয়ে দেয়। বিনিময়ে তোজো তাকে ঠাম্মির হাতে বানানো নাড়ু, বরফি, ঠাকুরের থালার নকুলদানা, কলা তার অগোচরে গিফ্ট করে। সবই গ্রহণ করে নিতাই।
গত কয়েকদিন ধরে তোজোদের বাড়িতে অশান্তি চলছে। তোজোর কাকারা বাড়িটা প্রমোটিং করে নিজেদের ভাগ বুঝে নিতে চায়। তারা সবাই প্রবাসী, প্রতিষ্ঠিত। নিজেদের বাড়িতে ফিরবে না। স্বামীর তৈরি বাড়িটা গুঁড়িয়ে যাবে, চান না তিনি। এ বাড়ির প্রতিটি ইঁট-বালি-সিমেন্টের কণায় মিশে আছেন বিশ্বনাথবাবু। কিন্তু মেজ, সেজ, ছোট ছেলেরা প্রমোটার ধরে এনেছে। তোজোর বাবা-মা, ঠাম্মির সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছে তাদের। গায়ত্রীদেবী তারপরই অসুস্থ হলেন।
দুশ্চিন্তায় পড়েছে নিতাইও। তোজোর কাছে কেঁদেকেটে বলেছে, 'আমি তাহলে বাড়িছাড়া হব? শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষায় গাছে উঠে বসে থাকতে হবে? গাছে আস্তানা পেতে গেলে তো পাড়ার ভূত অ্যাসোসিয়েশনকে ধরতে হবে। মেম্বারশিপ ফি-ও দিতে হয়। আমার তো কোনও কানেকশনও নেই। সেদিন শম্ভু ভূতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। গলফ ক্লাব মাঠের সীমানা ঘেঁষে ছাতিম গাছে একেকটা ডাল ২ বছরের জন্য দিচ্ছে ৫০ হাজার টাকায়। সেখানেও নাকি কাটমানি খায় অ্যাসোসিয়েশনের মাতব্বররা। জীবদ্দশায় পাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের মাথা ছিল যারা, ভূত সংগঠনেও তারাই ছড়ি ঘোরায়। কী করা যায়, ভাবো তো।'
এসব শুনে তোজোর চক্ষু চড়কগাছ। কী করে বাঁচানো যায় নিতাই ভূতকে? তোজো ভাবল, ঠাম্মিকে নিতাইয়ের কথাটা জানিয়ে দিয়ে থানা-পুলিশ করতে বলবে। কিন্তু তার আগেই আচমকা একদিন ঠাম্মির অবস্থার অবনতি হল। ভর্তি করতে হল নার্সিং হোমে। বাবা-মা-তোজো সবাই ছুটল। পাড়ার রথীনকাকু, সন্ধ্যা কাকিমাও সঙ্গী হল। বাড়ি ফিরেই তোজোরা দেখল, প্রমোটার, কাকারা হাজির। সব নথিপত্র, কন্ট্র্যাক্ট পেপার রেডি। প্রথমে দরকার ঠাম্মির সম্মতি-সই। তারপর বাকিদের। কাকাদের দাবি, ঠাম্মি সুস্থ হলেই তাঁকে দিয়ে সই করাতে হবে। বাবা-মার মুখে স্পষ্ট 'না' শুনল তোজো। 'মা রাজি নন, সই হবে না।', জানিয়ে দেওয়া হল।
তিনতলার হলঘরে সবাই। থমথমে আবহাওয়া। প্রমোটার টাকার অঙ্ক বাড়াচ্ছে। বলছে, ঠিক আছে, আরও একটা ফ্ল্যাট বেশি দেবো। কাকারা সম্মতির সুরে মাথা নাড়ছে। আর তখনই ঘটল ঘটনাটা। আচমকা ঘরের ভিতর একটা দমকা বাতাস ধেয়ে এল কোথা থেকে। সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। কাগজপত্র উড়ে কোথায় হাওয়া। তোজো দেখতে পেল, নিতাই ভয়ঙ্কর চেহারায় একটা ঝাড়ু নিয়ে ঘরময় উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রমোটার দৌড়ে গেল উড়ে যাওয়া কাগজপত্র কব্জা করতে। কিন্তু সে যাবে কোথায়? দড়াম করে দরজাটা হাওয়ার ধাক্কায় তার মুখের ওপর বন্ধ হয়ে গেল। ধাক্কা খেয়ে ধরাশায়ী সে। কাকারা জখম প্রমোটারকে নিয়ে চলে যেতে উদ্যত। তাদের সামনে ধুমকেতুর মতো উদয় হল নিতাই। ঠকঠক করে কাঁপছে তারা। 'ভূ....উ....ত' বলতে বলতে প্রমোটারকে ফেলে সবাই পগার পার। জ্ঞান ফিরে উঠে বসে সে কাকাদের খুঁজছে। 'ই বাড়িতে ভূত আসে, আমি পালাই', বলেই ছুটল সে।
তোজোকে পরে নিতাই জানায়, সে ওই কাগজপত্র পাশের ডোবার পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেছে। সব কুচিকুচি করে সে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
কাকতালীয় ভাবে সেদিনের প্রমোটার বিদায়ের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে নার্সিংহোম থেকে ছুটি পেয়ে ফিরল ঠাম্মি। সদর দরজায় হঠাত্ কে যেন তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করল।
'কে রে তুই?' 'আইজ্ঞা আমি নিতাই। এই বাড়ি বেহাত হইতে দিমু না। তোমার নাতি-নাতনী, তাগো পোলাপান, তাগো পোলা.......আমি রক্ষা করুম এই বাড়ি। তোমার চরণে একটু ঠাঁই দিও আমায়।'
ঠাম্মির মুখে চওড়া হাসি। ' ও, তাইলে ঠাকুরের প্রসাদের থালা থিকা নকুলদানা, মিহিদানায় তুই-ই
ভাগ বসাইতি।'
তোজো নিশিন্ত, নিতাই কোনওদিন হারিয়ে যাবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন