বৃহস্পতিবার টাকি বয়েজ স্কুলের প্রেক্ষাগৃহে প্রকাশ পেল কুণালের নতুন বই ‘পথের বাঁকে এসে’। বইটির এটাই প্রথম খণ্ড।
বইতন্ত্র : তাঁর প্রথম পছন্দ সাংবাদিকতা। তবে একজন বিদগ্ধ সাংবাদিক যখন মূল ধারার রচনায় ব্রতী হন, তখন নিশ্চিতভাবেই তাঁর লেখাগুলি সাহিত্য ভাণ্ডারের আকর হয়ে ওঠে। আবার সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিসরেও তাঁর চলাফেরা দীর্ঘ সময়ের– আগে সাংবাদিক হিসাবে, তারপর প্রত্যক্ষভাবে। সেই কুণাল ঘোষ জীবনের নানা ওঠা-পড়া, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, ঘটনার ঘনঘটা দু’মলাটে বন্দি করেছেন। সেই ‘পথের বাঁকে এসে’ বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ বাস্তবিকই সংবাদ-সাহিত্য-রাজনীতির জোটের মঞ্চ হয়ে উঠল।
বৃহস্পতিবার টাকি বয়েজ স্কুলের প্রেক্ষাগৃহে প্রকাশ পেল কুণালের নতুন বই ‘পথের বাঁকে এসে’। বইটির এটাই প্রথম খণ্ড। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এলপ্রতি রবিবার সম্পাদকীয় পাতায় যে কলাম লেখেন তিনি, এটি তারই সংকলন গ্রন্থ। অনুষ্ঠানে নিজের পরিচিত মেজাজেই দেখা গেল লেখককে। পাশাপাশি মঞ্চ আলো করে রইলেন গুণীজনেরা। ‘সংবাদ প্রতিদিনে’র প্রধান সম্পাদক সৃঞ্জয় বোস, মন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসু, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক রঞ্জন বন্দে্যাপাধ্যায়, রাজ্যের আর এক মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, সাংবাদিক অনিন্দ্য জানা, গ্রন্থটির প্রকাশক পত্র ভারতীর কর্ণধার ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক-প্রকাশক রূপা মজুমদার, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির আচার্য সমিত রায় প্রমুখ। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভাস্কর লেট।
কুণাল ঘোষের গদ্য নিয়ে সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত বলেন, “লেখার টানে পড়ে গিয়েছি। দেখেছি কুণালের সাংবাদিক জীবন, সাহিত্য জীবন। দুটো লেখা দুরকম। সংবাদ সংবাদের মতো। সাহিত্য সাহিত্যের মতো। তাই এই আকর্ষণ।” ব্রাত্য বইটির সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নে বললেন, “কোনও কোনও সাহিত্যিক পারেন সাহিত্যে সংবাদকে আনতে। আবার কোনও সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশনে সাহিত্য নিয়ে আসেন। তাই পড়তে পড়তে সংশয় হয় এ কি সাংবাদিকের ভাষা? নাকি সাহিত্যিকের? তার পর বুঝি এটা আসলে কালেক্টিভ কনশাসনেস। মন, হৃদয়, স্মৃতি।” সাম্প্রতিক বইটিতে যেখানে কুণালের জীবনে চলার পথের নানা অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে, তেমনই অনিবার্যভাবে এই বইটি প্রকাশে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের লড়াইটাও উঠে আসে। সৃঞ্জয় বোস বলেন, “যেখানে পড়েছিলেন এবং সেখান থেকে যেভাবে উঠেছেন, সেটা রীতিমতো কেস স্টাডির বিষয়। রোজ তাঁকে যেভাবে ম্যালাইন করা হয়, তার পরও তিনি যেভাবে রোজ লড়ে যান, সেটাও ‘পথের বাঁকে’তে আসা উচিত।” এই সুর ধরেই কুণাল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কুণাল বললেন, “ছোট হতে পারি, কিন্তু রাজার মেজাজে থাকব। মৃত সৈনিকের পার্ট আমাকে দিয়ে করানো যাবে না। আমাকে পড়ে যেতে দেখেছেন কয়েকজন। উত্থান গোটা পৃথিবীকে দেখিয়ে ছাড়ব। ঈশ্বর যেন শক্তি দেন। তাঁর কাছে প্রার্থনা এই জোর যেন থাকে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন