ঐন্দ্রিলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ রক্ত-মাংসের মানুষ নয়, সবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি নকল মানুষ।
আকাশে কালবৈশাখীর মেঘ জমেছে। বারো তলার এই ফ্ল্যাট থেকে দারুণ দেখতে লাগছে বাইরেটা। ফ্ল্যাটটা এই বছর খানেক হল কিনেছে সৌগত, মোটা মাইনের চাকরি করে তাই মাসে মাসে ইএমআই দিয়েও স্বচ্ছন্দে সংসার খরচের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি রয়েই যায় তার। সৌগত একজন প্রযুক্তিবিদ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়েই তার কাজকারবার। গগনচুম্বি বিল্ডিংয়ের এই ফ্ল্যাটে সেজে উঠেছে সৌগতর মিষ্টি সংসার। স্ত্রী আর একরত্তি মেয়েকে নিয়ে সৌগত এখন একজন কমপ্লিট ফ্যামিলি ম্যান।
সৌগত আর রিয়ার একমাত্র মেয়ে ঐন্দ্রিলা। সে ক্লাস ফোরে পড়ে। স্কুলে তাকে যেতে হয় না। ল্যাপটপের স্ক্রিনেই তার লেখাপড়া হয়ে যায়। ঐন্দ্রিলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ রক্ত-মাংসের মানুষ নয়, সবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি নকল মানুষ। সেই নকল মানুষরা খেলার ছলে খুব সুন্দর ভাবে পড়াতে পারে, পড়া না বুঝতে পারার কোনও কারণই নেই। রক্ত-মাংসের শিক্ষকদের তুলনায় ঢের বেশি ভালো পড়ায় প্রযুক্তির হাত ধরে জন্ম নেওয়া না-মানুষ শিক্ষকরা। যদিও পরীক্ষা, গ্রেডেশনের নিয়মও আছে কিন্তু তার জন্য ঐন্দ্রিলাকে কোথাও যেতে হয় না, ঘরের আরামে বসেই ল্যাপটপে লগ-ইন করে পরীক্ষা দিয়ে দেওয়া যায়।
কাচের দরজাটা খুলে সৌগত বারান্দায় এসে দাঁড়াল। আহ্! কী প্রাণজুড়ানো বাতাস। প্রকৃতির এই ন্যাচারাল এসির কাছে নামিদামি কোম্পানির অত্যাধুনিক এসির কোনও তুলনাই হয় না। তাড়াতাড়ি মোবাইল ফোনে আকাশের কিছু ফটো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে ফেলল সৌগত।
রিয়া আজ ডিনারে বানিয়েছে চিকেন কষা আর লুচি। ওর হাতের রান্নাটা ব্যাপক। এই মাংস ল্যাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি কিন্তু খেয়ে মনে হবে যেন আসল মাংস। সরকার ফরমান জারি করেছে দেশে প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ। এখন তাই ল্যাবে তৈরি মাংসই ভরসা দেশের নন-ভেজিটেরিয়ানদের, অবশ্য সবটাই বিজ্ঞানের অগ্রগতির অবদান।
লুচি-চিকেন কষা খেতে খেতে টিভিতে খবর দেখার অভ্যাসটা সৌগতর বহুদিনের। আজকাল খবরের চ্যানেল খুললেই শুধু অশান্তির খবর। চারিদিকে শুধু বিক্ষোভ, আগুন, ভাঙচুর, লুঠপাট, গুলি চলার ঘটনা। এই লোকগুলো নিজেদের আপগ্রেড করতে পারেনি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যখন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছিল তখন এরা ঘুমিয়ে ছিল। আজ চলে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ওই লোকগুলোর চাকরিও সেইসঙ্গে চলে গিয়েছে। ‘টাইম, টাইড অ্যান্ড টেকনোলজি ওয়েট ফর নান’– এই বেদবাক্যটা ওরা ভুলে গিয়েছিল। ‘লোকে কী ভাববে’– এই ভেবে নিজের অগ্রগতিকে আটকে রাখেনি সৌগত। তাই বি.টেক. পাস করার পরেও আলাদা কোর্স করে সে রপ্ত করে নিয়েছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খুঁটিনাটি। প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটবেই, তাকে আটকে রাখার চেষ্টা বৃথা পণ্ডশ্রম। প্রযুক্তির অগ্রগতি সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে না নিতে পারলে সেটা মানুষেরই দোষ। রাস্তায় নেমে মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভ করে কোনও লাভ নেই, এই পৃথিবীতে সেই টিকে থাকে যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ওই লোকগুলো হেরে গিয়েছে, সৌগত জিতে গিয়েছে– এক আত্মশ্লাঘায় সৌগতর বুক অহংকারে ফুলে উঠল।
পরদিন সকালে ই-মেইল খুলতেই সৌগতর চোখের সামনেটা অন্ধকার হয়ে গেল। মেইলে কোম্পানি জানিয়েছে কোম্পানির আর তাকে প্রয়োজন নেই। ব্যয় সংকোচনের জন্য কোম্পানি প্রযুক্তির উপরেই নির্ভর করবে এখন থেকে। মানসিক অভিঘাতটা এতটাই ছিল প্রথমে সৌগত বুঝতেই পারছিল না ঘটনার গভীরতা। ও নিজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কোর্স করেছিল নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাতে আগামী দিনে তার কাজ সুরক্ষিত থাকে। কোম্পানির একজন উচ্চপদস্থ প্রযুক্তিবিদ ছিল সৌগত। কাল অবধি ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও তার চাকরিটাও অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর করাল গ্রাস থেকে সুরক্ষিত নয়। তাহলে কি সুপার অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসে গেল? কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে শেষমেশ গাঁটছড়া বাঁধল এআই? কোম্পানির তরফ থেকে যদিও বলা হয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে সৌগতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনমাসের বেতন ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু তারপর?
রাজপথে কর্মচ্যুত মানুষের এক বিশাল মিছিল নেমেছে। সেই মিছিলে উদভ্রান্তের মতো পায়ে পা মিলিয়েছে সৌগতও। চারিদিকে শুধু আগুন, ছিনতাই, লুঠপাট। প্রযুক্তিপ্রেমী, পুঁজিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্র ভীষণভাবে ঘেন্না করে এই মিছিলকে। দেশে বহুবছর হল কায়েম রয়েছে এক পার্টি সিস্টেম, ভোটের সময় দু’জন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ান কেবল…মানুষকে ওই দু’জনের একজনকে বেছে নিতে হয়। পায়ে পায়ে মিছিল এগোচ্ছে পার্লামেন্টের দিকে। মিছিলকে রুখতে অনেক উপর মহল থেকে সরাসরি অর্ডার এলো পুলিশের কাছে– ‘ফায়ার’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের অব্যর্থ নিশানায় ছোঁড়া বুলেটে রাজধানীর সুপ্রশস্থ রাজপথে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়তে লাগল একদল বেকারের লাশ। রক্ত-মাংসের মানুষগুলোর উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হল প্রযুক্তির রোড রোলার। সৌগতর লাল রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে থাকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে চাকরি হারানো কোন এক স্কুল শিক্ষকের রক্ত।
লেখক পরিচিতি : দেবজিৎ ঘোষ।বর্তমানে থাকেন শহর কলকাতাতে। হিন্দু স্কুল থেকে পড়া শেষ করে বি.টেক. ডিগ্রি লাভ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিঙে। পরবর্তীতে চর্চা করেছেন ও করছেন ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়।
![]() |
| AI Generated Image |
আকাশে কালবৈশাখীর মেঘ জমেছে। বারো তলার এই ফ্ল্যাট থেকে দারুণ দেখতে লাগছে বাইরেটা। ফ্ল্যাটটা এই বছর খানেক হল কিনেছে সৌগত, মোটা মাইনের চাকরি করে তাই মাসে মাসে ইএমআই দিয়েও স্বচ্ছন্দে সংসার খরচের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি রয়েই যায় তার। সৌগত একজন প্রযুক্তিবিদ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়েই তার কাজকারবার। গগনচুম্বি বিল্ডিংয়ের এই ফ্ল্যাটে সেজে উঠেছে সৌগতর মিষ্টি সংসার। স্ত্রী আর একরত্তি মেয়েকে নিয়ে সৌগত এখন একজন কমপ্লিট ফ্যামিলি ম্যান।
সৌগত আর রিয়ার একমাত্র মেয়ে ঐন্দ্রিলা। সে ক্লাস ফোরে পড়ে। স্কুলে তাকে যেতে হয় না। ল্যাপটপের স্ক্রিনেই তার লেখাপড়া হয়ে যায়। ঐন্দ্রিলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ রক্ত-মাংসের মানুষ নয়, সবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি নকল মানুষ। সেই নকল মানুষরা খেলার ছলে খুব সুন্দর ভাবে পড়াতে পারে, পড়া না বুঝতে পারার কোনও কারণই নেই। রক্ত-মাংসের শিক্ষকদের তুলনায় ঢের বেশি ভালো পড়ায় প্রযুক্তির হাত ধরে জন্ম নেওয়া না-মানুষ শিক্ষকরা। যদিও পরীক্ষা, গ্রেডেশনের নিয়মও আছে কিন্তু তার জন্য ঐন্দ্রিলাকে কোথাও যেতে হয় না, ঘরের আরামে বসেই ল্যাপটপে লগ-ইন করে পরীক্ষা দিয়ে দেওয়া যায়।
কাচের দরজাটা খুলে সৌগত বারান্দায় এসে দাঁড়াল। আহ্! কী প্রাণজুড়ানো বাতাস। প্রকৃতির এই ন্যাচারাল এসির কাছে নামিদামি কোম্পানির অত্যাধুনিক এসির কোনও তুলনাই হয় না। তাড়াতাড়ি মোবাইল ফোনে আকাশের কিছু ফটো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে ফেলল সৌগত।
রিয়া আজ ডিনারে বানিয়েছে চিকেন কষা আর লুচি। ওর হাতের রান্নাটা ব্যাপক। এই মাংস ল্যাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি কিন্তু খেয়ে মনে হবে যেন আসল মাংস। সরকার ফরমান জারি করেছে দেশে প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ। এখন তাই ল্যাবে তৈরি মাংসই ভরসা দেশের নন-ভেজিটেরিয়ানদের, অবশ্য সবটাই বিজ্ঞানের অগ্রগতির অবদান।
লুচি-চিকেন কষা খেতে খেতে টিভিতে খবর দেখার অভ্যাসটা সৌগতর বহুদিনের। আজকাল খবরের চ্যানেল খুললেই শুধু অশান্তির খবর। চারিদিকে শুধু বিক্ষোভ, আগুন, ভাঙচুর, লুঠপাট, গুলি চলার ঘটনা। এই লোকগুলো নিজেদের আপগ্রেড করতে পারেনি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যখন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছিল তখন এরা ঘুমিয়ে ছিল। আজ চলে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ওই লোকগুলোর চাকরিও সেইসঙ্গে চলে গিয়েছে। ‘টাইম, টাইড অ্যান্ড টেকনোলজি ওয়েট ফর নান’– এই বেদবাক্যটা ওরা ভুলে গিয়েছিল। ‘লোকে কী ভাববে’– এই ভেবে নিজের অগ্রগতিকে আটকে রাখেনি সৌগত। তাই বি.টেক. পাস করার পরেও আলাদা কোর্স করে সে রপ্ত করে নিয়েছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খুঁটিনাটি। প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটবেই, তাকে আটকে রাখার চেষ্টা বৃথা পণ্ডশ্রম। প্রযুক্তির অগ্রগতি সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে না নিতে পারলে সেটা মানুষেরই দোষ। রাস্তায় নেমে মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভ করে কোনও লাভ নেই, এই পৃথিবীতে সেই টিকে থাকে যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ওই লোকগুলো হেরে গিয়েছে, সৌগত জিতে গিয়েছে– এক আত্মশ্লাঘায় সৌগতর বুক অহংকারে ফুলে উঠল।
পরদিন সকালে ই-মেইল খুলতেই সৌগতর চোখের সামনেটা অন্ধকার হয়ে গেল। মেইলে কোম্পানি জানিয়েছে কোম্পানির আর তাকে প্রয়োজন নেই। ব্যয় সংকোচনের জন্য কোম্পানি প্রযুক্তির উপরেই নির্ভর করবে এখন থেকে। মানসিক অভিঘাতটা এতটাই ছিল প্রথমে সৌগত বুঝতেই পারছিল না ঘটনার গভীরতা। ও নিজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কোর্স করেছিল নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাতে আগামী দিনে তার কাজ সুরক্ষিত থাকে। কোম্পানির একজন উচ্চপদস্থ প্রযুক্তিবিদ ছিল সৌগত। কাল অবধি ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও তার চাকরিটাও অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর করাল গ্রাস থেকে সুরক্ষিত নয়। তাহলে কি সুপার অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসে গেল? কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে শেষমেশ গাঁটছড়া বাঁধল এআই? কোম্পানির তরফ থেকে যদিও বলা হয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে সৌগতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনমাসের বেতন ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু তারপর?
রাজপথে কর্মচ্যুত মানুষের এক বিশাল মিছিল নেমেছে। সেই মিছিলে উদভ্রান্তের মতো পায়ে পা মিলিয়েছে সৌগতও। চারিদিকে শুধু আগুন, ছিনতাই, লুঠপাট। প্রযুক্তিপ্রেমী, পুঁজিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্র ভীষণভাবে ঘেন্না করে এই মিছিলকে। দেশে বহুবছর হল কায়েম রয়েছে এক পার্টি সিস্টেম, ভোটের সময় দু’জন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ান কেবল…মানুষকে ওই দু’জনের একজনকে বেছে নিতে হয়। পায়ে পায়ে মিছিল এগোচ্ছে পার্লামেন্টের দিকে। মিছিলকে রুখতে অনেক উপর মহল থেকে সরাসরি অর্ডার এলো পুলিশের কাছে– ‘ফায়ার’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের অব্যর্থ নিশানায় ছোঁড়া বুলেটে রাজধানীর সুপ্রশস্থ রাজপথে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়তে লাগল একদল বেকারের লাশ। রক্ত-মাংসের মানুষগুলোর উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হল প্রযুক্তির রোড রোলার। সৌগতর লাল রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে থাকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে চাকরি হারানো কোন এক স্কুল শিক্ষকের রক্ত।
লেখক পরিচিতি : দেবজিৎ ঘোষ।বর্তমানে থাকেন শহর কলকাতাতে। হিন্দু স্কুল থেকে পড়া শেষ করে বি.টেক. ডিগ্রি লাভ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিঙে। পরবর্তীতে চর্চা করেছেন ও করছেন ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন