১ মে ২০২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪- এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ১৪৯টি বই থেকে ছ’টি বই বেছে নেওয়া হয়েছিল এবছরের বুকার সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
![]() |
টেট মডার্ন, লন্ডনে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৪-এর অনুষ্ঠানে জেনি এরপেনবেক এবং মাইকেল হফম্যান। ছবি: ডেভিড প্যারি/বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন। |
বইতন্ত্র : ২০২৪-এর আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার (International Booker Prize 2024) পেলেন জার্মান লেখিকা জেনি এরপেনবেক এবং অনুবাদক মাইকেল হফম্যান ‘কাইরোস’ (Kairos) উপন্যাসের জন্য। জার্মান ভাষায় লেখা বইটি ১৯৮০-এর দশকে পূর্ব বার্লিনে একজন বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে এক যুবতীর ‘ধ্বংসাত্মক সম্পর্কের’ কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে একটি অনুষ্ঠানে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি হস্তান্তর করা হয়। প্রসঙ্গত, ইংরেজি সাহিত্যপ্রেমী দুনিয়া যে কয়েকটি পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকে তার একটি বুকার। আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ হচ্ছে একটি বার্ষিক পুরস্কার, যা ইংরেজিতে অনুবাদ সেরা উপন্যাসটিকে দেওয়া হয়।
১ মে ২০২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪- এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ১৪৯টি বই থেকে ছ’টি বই বেছে নেওয়া হয়েছিল এবছরের বুকার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। বুকার পুরস্কার ২০২৪-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা স্থান পাওয়া উপন্যাসগুলি হল– আর্জেন্টিনার লেখক সেলভা আলমাদারের স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ‘Not a River (অ্যানি ম্যাকডারমটের ইংরেজি অনুবাদ); জার্মান লেখক জেনি এরপেনবেকের জার্মান ভাষায় লেখা ‘Kairos’ (মাইকেল হফম্যানের অনুবাদ); ব্রাজিলের ইতামার ভিয়েরা জুনিয়রের পর্তুগিজ ভাষায় লেখা ‘Crooked Plow’ (জনি লরেঞ্জের অনুবাদ); দক্ষিণ কোরিয়ার হোয়াং সোক-ইয়ংয়ের কোরীয় ভাষায় লেখা ‘Mater 2-10’ (সোরা কিম-রাসেল ও ইয়ংজে জোসেফাইনের অনুবাদ); নেদারল্যান্ডসের ইয়ান্তে পোস্তুমারের ডাচ ভাষায় লেখা ‘What I'd Rather Not Think About’ (সারাহ টিমার হার্ভের অনুবাদ) এবং সুইডেনের ইয়া জেনবার্গের সুইডিশ ভাষায় লেখা ‘The Details’ (খিরা ইউসাসঙ অনুবাদ)। তারমধ্যে বিজয়ী ঘোষিত হয়ে ‘কাইরোস’।
এই তালিকায় থাকা বইগুলির মধ্যে বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে এসেছিল ‘কাইরোস’ (Kairos) উপন্যাসটি। সেখানে জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পতনের প্রেক্ষাপটে একটি সম্পর্কের গল্প বলা হয়েছে। যদিও উপন্যাসটি ‘ভালোবাসা এবং রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন, তবে এরপেনবেকের কঠোর এবং আপসহীন কল্পনার সঙ্গে এগিয়ে চলা গল্পটি শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে।
২০২৪ সালের বিচারকদের সভাপতি এলেনর ওয়াচটেল এরপেনবেকের ‘উজ্জ্বল গদ্য’, ‘মানবিক সম্পর্কের জটিলতা’ এবং পূর্ব বার্লিনের পরিবেশের বর্ণনার প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত, ‘কাইরোস’ এরপেনবেকের চতুর্থ উপন্যাস। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য এন্ড অব ডেজ’-এর জন্য তিনি ২০১৫ সালে ইনডিপেনডেন্ট ফরেন ফিকশন পুরস্কার পেয়েছিলেন, যেটিকে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের অগ্রদূত বলা হয়। তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘গো, ওয়েন্ট, গন’ ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
২০০৫ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার। প্রথম ইন্টারন্যাশনাল বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন আলবেনিয়ান লেখক ইসমাইল কাদারে। এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্ব সাহিত্যের অনুবাদকদের কাজটিকে সম্মান জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাহিত্য যাতে গোটা বিশ্বের মানুষ পড়তে পারেন তাই এই পরিকল্পনা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন