Nobel Prize 2024 : কেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাংকে নোবেল

১০ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেলজয়ী হান কাংয়ের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

Nobel Prize 2024 : সাহিত্যে নোবেল দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাংকে

তাঁর লেখা ইতিহাসের যন্ত্রণার সাথে মোকাবিলা করে এবং মানব জীবনের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। করে। তারই স্বীকৃতি পেলেন হান কাং। দৈনন্দিন কাজে ব‌্যস্ত সময়ে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরে দারুন চমকে উঠে যিনি বলতে পারেন, “কোনও একক লেখক নয়, বরং তাঁর মধ্যে রয়েছে অনেক লেখকের সম্মিলিত প্রভাব।” তাঁর ভাষায় : “তাঁদের (লেখক) যাবতীয় প্রচেষ্টা ও শক্তি আমার প্রেরণা।” প্রকৃতপক্ষে, ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন ও অনুভূতিগুলোকে খুব তীক্ষ্ণ ও কাব্যিকভাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। হান কাংয়ের লেখায় মানবজীবনের দুঃখ-কষ্টের নানা দিক ও ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।

১০ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেলজয়ী হান কাংয়ের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং হলেন এশিয়ার প্রথম নারী লেখক, যিনি নোবেল পুরস্কার জিতলেন।

হান কাংয়ের জন্ম ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় গোয়াংজু শহরে। তিনি প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হান সিউং-ওনের মেয়ে। হান প্রথমবার আলোচনায় আসেন তাঁর বিখ‌্যাত উপন‌্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য। এই উপন‌্যাসের জন‌্য ২০১৬ সালে তিনি ‘ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ’ জিতেছিলেন। বইটি যদিও প্রায় এক দশক আগে প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু ডেবোরা স্মিথের ইংরেজি অনুবাদ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরই এটি বিশ্বব্যাপী পাঠকদের কাছে পৌঁছে যায়। বিজয়ী ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি তাঁর প্রসঙ্গে বলেছে, “তিনি সংগীত ও শিল্পের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর কাজ বিভিন্ন ধরনের শৈলীকে একত্র করে নতুন কিছু তৈরি করেছে। এই কাজগুলোয় সহিংসতা, শোক ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মতো জটিল বিষয়গুলোকেও তুলে ধরেছেন তিনি।”

নোবেল বিজয়ী হিসাবে হান কাংয়ের নাম ঘোষণার পর তাঁর অনুভূতি জানার জন্য সুইডিশ কমিটির তরফে ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়। সুইডিশ অ‌্যাকাডেমির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ম্যাটস মালম বলেন, “তিনি একদম স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। সবেমাত্র ছেলের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন। তিনি এত তাড়াতাড়ি এমন একটি খবর শুনে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন।” তিনি জানান, “হান কাং নোবেল কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি সত্যিই অবাক হয়েছি ও সম্মানিত বোধ করছি। কোরিয়ান সাহিত্য আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। এই পুরস্কার কোরিয়ান সাহিত্যের পাঠক ও আমার সাহিত্যিক বন্ধুদের জন্যও একটি বিশেষ উপহার।’

১৯৯৩ সালে পাঁচটি কবিতা প্রকাশ করে সাহিত্যজগতে পা রাখেন হান কাং। এরপর একটি ছোটগল্পের মাধ্যমে কথাসাহিত্যে তাঁর পথচলা শুরু। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ইনস্টিটিউট অব আর্টসের সৃজনশীল লেখার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর লেখা ৩০টির বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন