বিগত বছরগুলোতে প্রবাসী যেমন আন্তরিকতায় আপামর জনগণকে কাছে টানতে পেরেছে, তেমনি পুজোর আনুষ্ঠানিকতাও জনমানসে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। ফি বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এই সাক্ষ্য বহন করে। গত বছর লন্ডনে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী হান্সলোর এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেছেন।
হান্সলো হিথ্রোর অদূরে অবস্থিত। ভারত থেকে ইংল্যান্ডে আসা বহু ভারতীয়ই প্রবাসীর পুজোকেই নিজেদের সবচেয়ে কাছের পুজো বলে মনে করে থাকেন। এর একটা কারণ যদি হয় হান্সলোর ভৌগলিক অবস্থান, তবে আরেকটি প্রধান কারণ নিশ্চই পুজোর আয়োজকদের আন্তরিকতা। বিগত এক যুগ ধরে হাজার হাজার দর্শনার্থী পুজোর চারদিন, দুবেলা করে ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করে থাকেন। এদের মধ্যে বাঙালি, অবাঙালি-সহ বহু ভারতীয় তথা দক্ষিণ-এশিয় যেমন আছেন, তেমনি থাকেন বহু অভারতীয়ও। বস্তুত, পুজোর চারদিন,
পূজার জায়গা হানিমুন ব্যাংকোয়েট হল হয়ে ওঠে বহু জাতি- ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু ভাষাভাষী মানুষ এবং তাদের বিবিধ সংস্কৃতির মিলনমেলা।
পুজোর ক'দিন প্রবাসী শিশু- কিশোরদের নিয়ে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে তাতেও বিবিধতার মধ্যে মানবিকতার ঐক্যের মন্ত্রটিই জোরগলায় উচ্চারিত হয়ে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন