বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মিনি ব্ল্যাক হোলের চারপাশে গ্যাসীয় কণার সংঘর্ষ কিংবা বিকিরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই হয়তো তার অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে।
এই পৃথিবী বা মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের উপলব্ধি প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। এবার একদল বিজ্ঞানী জানালেন, মহাবিশ্বের দূর প্রান্তে নয়, বরং আমাদের নিজের সৌরজগতের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে একটি ক্ষুদ্র ব্ল্যাক হোল। আর এই তত্ত্বই বিজ্ঞান জগতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে।
এটা কোনও সাধারণ ব্ল্যাক হোল নয়, যা গ্যালাক্সির কেন্দ্রভাগে অবস্থান করে লক্ষ লক্ষ সূর্যসম ভরের অধিকারী। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ব্ল্যাক হোলটি আকারে একটি গ্রেপফ্রুট ফলের মতো, অথচ তার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তার ভর হতে পারে এক পুরো গ্রহের সমান। এই মিনি ব্ল্যাক হোলটি রয়েছে আমাদের সৌরজগতের বাইরের অংশে, যেখানে আমাদের বোঝাপড়াও এখনো অস্পষ্ট।
এই তত্ত্বের পেছনে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। তাদের বক্তব্য, এই ‘প্রাইমোর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোল’ (Primordial Black Hole) আদতে একটি অদৃশ্য মহাকর্ষীয় বস্তু, যা বৃহস্পতি বা নেপচুনের মতো গ্রহগুলির কক্ষপথে অস্বাভাবিক টান তৈরি করছে। গবেষকেরা এটিকে ‘নবম গ্রহ’ (Planet Nine) এর বিকল্প ব্যাখ্যা হিসেবেও বিবেচনা করছেন। এতদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, সৌরজগতের প্রান্তে একটি নবম গ্রহ রয়েছে, যার মহাকর্ষীয় টান অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে দিচ্ছে অনেক বরফঘেরা বস্তুকে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, আসলে এটা কোনও গ্রহ নয়, বরং একটি ক্ষুদ্র ব্ল্যাক হোল হতে পারে।
এই ব্ল্যাক হোলটিকে সরাসরি দেখা সম্ভব নয়। কারণ, ব্ল্যাক হোল নিজের থেকে কোনও আলো বিকিরণ করে না। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মিনি ব্ল্যাক হোলের চারপাশে গ্যাসীয় কণার সংঘর্ষ কিংবা বিকিরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই হয়তো তার অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে। এর ফলে, খুব শিগগিরই আমরা হয়তো আমাদের সৌরজগতের এক নতুন, ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চলেছি।
এছাড়া এই তত্ত্ব উঠে এসেছে আরও একটি বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের জবাবে—এই মিনি ব্ল্যাক হোল যদি সত্যিই থাকে, তবে তা কীভাবে তৈরি হয়েছিল? বিজ্ঞানীদের অনুমান, এটি বিগ ব্যাং–এর পরপরই গঠিত হয়েছিল, যখন মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অত্যন্ত বেশি। আর সেই সময়েই যদি কোনও অংশ অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সংকুচিত হয়ে যায়, তাহলে সেখানে একেবারে ক্ষুদ্র আকারের ব্ল্যাক হোল তৈরি হওয়া সম্ভব।
তবে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান এখনো প্রাথমিক স্তরে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, ভবিষ্যতের স্পেস টেলিস্কোপ ও রেডিও ডিটেকশন প্রযুক্তি হয়তো এই রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হবে। যদি এই তত্ত্ব সত্যি হয়, তবে তা শুধু আমাদের সৌরজগত নয়, বরং সমগ্র মহাবিশ্ব সংক্রান্ত ধ্যানধারণাতেই বড়সড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
মানুষ বরাবরই তার চারপাশের অজানাকে জানার জন্য উদগ্রীব। আর সেই জ্ঞান অন্বেষণের পথে এই ঘরের ‘ব্ল্যাক হোল’ আমাদের সামনে এক নতুন অধ্যায় খুলে দিল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি যদি সত্যি হয়, তবে আমাদের চারপাশ যে কতটা রহস্যময়, তা আবারও একবার প্রমাণিত হবে।
এই পৃথিবী বা মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের উপলব্ধি প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। এবার একদল বিজ্ঞানী জানালেন, মহাবিশ্বের দূর প্রান্তে নয়, বরং আমাদের নিজের সৌরজগতের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে একটি ক্ষুদ্র ব্ল্যাক হোল। আর এই তত্ত্বই বিজ্ঞান জগতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে।
এটা কোনও সাধারণ ব্ল্যাক হোল নয়, যা গ্যালাক্সির কেন্দ্রভাগে অবস্থান করে লক্ষ লক্ষ সূর্যসম ভরের অধিকারী। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ব্ল্যাক হোলটি আকারে একটি গ্রেপফ্রুট ফলের মতো, অথচ তার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তার ভর হতে পারে এক পুরো গ্রহের সমান। এই মিনি ব্ল্যাক হোলটি রয়েছে আমাদের সৌরজগতের বাইরের অংশে, যেখানে আমাদের বোঝাপড়াও এখনো অস্পষ্ট।
এই তত্ত্বের পেছনে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। তাদের বক্তব্য, এই ‘প্রাইমোর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোল’ (Primordial Black Hole) আদতে একটি অদৃশ্য মহাকর্ষীয় বস্তু, যা বৃহস্পতি বা নেপচুনের মতো গ্রহগুলির কক্ষপথে অস্বাভাবিক টান তৈরি করছে। গবেষকেরা এটিকে ‘নবম গ্রহ’ (Planet Nine) এর বিকল্প ব্যাখ্যা হিসেবেও বিবেচনা করছেন। এতদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, সৌরজগতের প্রান্তে একটি নবম গ্রহ রয়েছে, যার মহাকর্ষীয় টান অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে দিচ্ছে অনেক বরফঘেরা বস্তুকে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, আসলে এটা কোনও গ্রহ নয়, বরং একটি ক্ষুদ্র ব্ল্যাক হোল হতে পারে।
এই ব্ল্যাক হোলটিকে সরাসরি দেখা সম্ভব নয়। কারণ, ব্ল্যাক হোল নিজের থেকে কোনও আলো বিকিরণ করে না। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মিনি ব্ল্যাক হোলের চারপাশে গ্যাসীয় কণার সংঘর্ষ কিংবা বিকিরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই হয়তো তার অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে। এর ফলে, খুব শিগগিরই আমরা হয়তো আমাদের সৌরজগতের এক নতুন, ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চলেছি।
এছাড়া এই তত্ত্ব উঠে এসেছে আরও একটি বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের জবাবে—এই মিনি ব্ল্যাক হোল যদি সত্যিই থাকে, তবে তা কীভাবে তৈরি হয়েছিল? বিজ্ঞানীদের অনুমান, এটি বিগ ব্যাং–এর পরপরই গঠিত হয়েছিল, যখন মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অত্যন্ত বেশি। আর সেই সময়েই যদি কোনও অংশ অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সংকুচিত হয়ে যায়, তাহলে সেখানে একেবারে ক্ষুদ্র আকারের ব্ল্যাক হোল তৈরি হওয়া সম্ভব।
তবে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান এখনো প্রাথমিক স্তরে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, ভবিষ্যতের স্পেস টেলিস্কোপ ও রেডিও ডিটেকশন প্রযুক্তি হয়তো এই রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হবে। যদি এই তত্ত্ব সত্যি হয়, তবে তা শুধু আমাদের সৌরজগত নয়, বরং সমগ্র মহাবিশ্ব সংক্রান্ত ধ্যানধারণাতেই বড়সড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
মানুষ বরাবরই তার চারপাশের অজানাকে জানার জন্য উদগ্রীব। আর সেই জ্ঞান অন্বেষণের পথে এই ঘরের ‘ব্ল্যাক হোল’ আমাদের সামনে এক নতুন অধ্যায় খুলে দিল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি যদি সত্যি হয়, তবে আমাদের চারপাশ যে কতটা রহস্যময়, তা আবারও একবার প্রমাণিত হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন